দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর ফের বড় অভিযোগ। এবারও অভিযোগের তির আদানি গোষ্ঠীর দিকে। জর্জ সোরোস সমর্থিত অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন প্রোজেক্ট নামে (OCCRP) একটি কোম্পানি দাবি করেছে, আদানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি গোপনে এই গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই আদানি গ্রুপের শেয়ারের দামে পতন দেখা গিয়েছে।এই গ্রুপের শেয়ারের মূল্য 5 শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। Adani Power, Adani Energy Solutions, এবং Adani Green -এর শেয়ারের দাম 4-5% করে হ্রাস পায়। এদিকে Adani Ports এবং Adani Enterprises -এর স্টকের মূল্য 3-3.5 শতাংশ পর্যন্ত কমে। আদানির বাকি পাঁচটি স্টকও নিম্নগামী হয়।
যদিও OCCRP -এর অভিযোগগুলি আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। এই রিপোর্ট দুই বিদেশি সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান এবং ফিনান্সিয়াল টাইমসেও প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলিকে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের 'পুনর্ব্যবহারযোগ্য অভিযোগ' বলা হয়েছে। নতুন রিপোর্টে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নাসের আলি শাবান আহলি এবং চ্যাং চুং -লিং আদানি গ্রুপের বিপুল অঙ্কের স্টকে ট্রেড করেছেন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই দু'জন গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির কোম্পানিতে ডিরেক্টর এবং শেয়ারহোল্ডার ছিলেন।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, "2016 সালের জুন মাসে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি করা হয়। দু'টি ফান্ডের কাছে আদানি গ্রুপের চার সংস্থা Adani Power, Adani Enterprises, Adani Ports এবং Adani Transmission -এর 8 থেকে 14 শতাংশ পর্যন্ত ফ্রি ফ্লোট শেয়ার ছিল।" উল্লেখ্য, পাবলিক শেয়ার হোল্ডিংয়ের কাছে যে স্টেকের অংশ থাকে তাকে 'ফ্রি ফ্লোট' শেয়ার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই রিপোর্টগুলি বিদেশি মিডিয়ার একটি অংশের সমর্থিত। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, "আমাদের স্টকের দাম কমিয়ে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এই শর্ট সেলাররা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের তদন্তের অধীনে রয়েছে। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট এবং সেবি এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে, তাই বিষয়টিকে সম্মান করা অত্যাবশ্যক।"
প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। সেবিকে পৃথক তদন্তের কথা বলা হয়। গত সপ্তাহে বাজারের নিয়ন্ত্রক বলেছে, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শেষ করেছে। তবে এখনও নির্দিষ্ট ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। নিয়ন্ত্রক বলেছে, "আইন অনুযায়ী তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"