দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- পরিবেশগত কারণ তো আছেই তাছাড়াও বেশ কিছু কারণে সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগব্যাধি বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার দরুন খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজরই রাখতে পারছেন না অনেকে। এর ফলে সুগার, প্রেসার, থাইরয়েডের মতো নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞারা বলেন, সাধারণ কিছু টিপস মেনে চললে অনেক ভালো ও সুস্থ থাকা যায়। যেমন -
১) ওজন কমান - অতিরিক্ত ওজন এখন একটা খুব বড়ো সমস্যা। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন যদি বেশি হয়ে থাকে, তাহলে সুস্বাস্থ্যের জন্য ওজন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
২) স্বাস্থ্যকর খাবার - স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে ২টি বিষয়
জড়িত। প্রথমত, কী খাচ্ছেন এবং দ্বিতীয়ত, কীভাবে খাচ্ছেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়
ফল ও শাক-সবজি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। খুব দ্রুত খাওয়া ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
তাই ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিত।
৩) অলস ভাব বা শুয়ে-বসে থাকা কমান - নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি শরীরকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় রাখার জন্য অলসভাবে শুয়ে-বসে সময় কাটানো এড়িয়ে চলা উচিত। দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই যা সম্ভব।
৪) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা - প্রতি বছর নিয়মিত চিকিৎসকের
সঙ্গে দেখা করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
এতে করে ছোটখাট স্বাস্থ্য সমস্যা বড় আকার ধারণের আগেই শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৫) মানসিক চাপ কমান - মানসিক চাপ কমানোর উপায় জানা মানসিক
ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের
ব্যায়াম, হাঁটা বা গান শোনার মতো সাধারণ কাজগুলো সহায়ক হতে পারে।
৬) পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম জরুরি - ভালো ঘুম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতা বাড়ায়। আরামদায়ক ঘুমের জন্য রুটিন তৈরি, ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টেলিভিশন দেখার সময় কমানো এবং ভালো ঘুমের পরিবেশ তৈরি প্রয়োজনীয় বিষয়। যদি অনিদ্রার সমস্যা থাকে, তাহলে মানসিক চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।