দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ হিন্দুধর্ম অনুসারে সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রমতে এদিনই ব্রহ্মার মুখ থেকে আবির্ভূতা হন মা সরস্বতী। জেনে নিন এদিন শুভ ফল লাভ করার জন্য কোন কোন কাজ কখনোই করবেন না।
সরস্বতী পুজোর দিন কী কাজ করবেন এবং কী করবেন না
শাস্ত্র অনুসারে বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রঙের পোশাক পরা অত্য়ন্ত শুভ। হলুদ ছাড়া বাসন্তী, সাদা বা কমলা রঙের পোশাক পরা যেতে পারে। তবে এই দিনে ভুলেও কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়। বসন্ত পঞ্চমীতে কালো পোশাক মারাত্মক অশুভ প্রভাব নিয়ে আসে।
সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমী হল লেখাপড়া শুরু করার জন্য উপযুক্ত দিন। এদিন সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের শুদ্ধ মনে বাগদেবীর আরাধনা করা জরুরি।
সরস্বতী পুজোর দিন সকালে উঠেই ছাত্র ছাত্রীরা আগে স্নান সেরে নেবে। এদিন ভুলেও স্নান না করে খাবার খাবে না। এদিন স্নান না করে থাকা অত্যন্ত অশুভ। সকালে উঠে স্নান সেরে অঞ্জলি দিয়ে তবেই খাবার মুখে তুলতে হবে।
সরস্বতী পুজোর দিন সেলাইয়ের কোনও কাজ না করাই ভালো। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এদিন সেলাই ফোঁড়াই না করা উচিত।
খেয়াল রাখতে হবে যে সরস্বতী পুজোর সময় জ্বালানো প্রদীপ যেন কোনও ভাবে পুজো চলাকালীন নিভে না যায়। পুজোর মধ্যেই কোনও ভাবে প্রদীপ নিভে যাওয়া অত্যন্ত অমঙ্গলের সূচনা করে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এর ফলে বিদ্যা অর্জনের পথে বাধা আসে।
বসন্ত পঞ্চমীর দিন কেউ মাছ-মাংস বা আমিষ খাবার মুখে তুলবেন না। এদিন মদ্যপান থেকেও বিরত থাকা জরুরি।
সরস্বতী পুজোর দিন কৃষক বন্ধুদেরও ফসল কাটতে নিষেধ করা হয়। শুধু তাই নয়, এদিন বাড়ির কোনও গাছ কাটাও উচিত নয়। বরং সরস্বতী পুজোর দিন বাড়িতে গাছ বসানো দারুণ শুভ বলে মনে করা হয়।
সরস্বতী পুজোর দিন ভুলেও কাউকে খারাপ কথা বলবেন না। কারণ মনে করা হয় এদিন দেবী সরস্বতী আমাদের জিহ্বায় অবস্থান করেন। তাই এদিন নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
পড়ার বই, ছবি আঁকার তুলি বা সঙ্গীতের সরঞ্জাম থাকলে তা সরস্বতী পুজোর সময় অবশ্যই দেবীর সামনে রেখে আসা উচিত। এর ফলে এগুলির উপর দেবীর কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং দেবীর আশীর্বাদে এই সব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়।