
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আস্থার মহোৎসব ছট পুজোয় ষষ্ঠী দেবী ও সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। এটি চারদিনব্যাপী এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এ বছর ছট পুজো পালিত হবে ২৫শে অক্টোবর অর্থ্যাৎ আজ থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত। নিম্নে উল্লেখিত হলো, চার দিনের পুজোর নিয়ম ও দিনক্ষণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
ছট পুজোর দিনক্ষণ—
নাহায়-খায়: ছট পুজোর প্রথম দিন নাহায়-খায়। কার্তিক শুক্ল চতুর্থী তিথিতে নিয়ম পালন করা হয়। এ বছর ২৫ অক্টোবর নাহায়-খায়। এ দিন মহিলারা নদীতে স্নান করে সাত্বিক খাদ্য রান্না করে থাকেন। লাউ দিয়ে ছোলার ডাল এই তিথিতে অবশ্যই রান্না করা হয়ে থাকে।
খরনা: কার্তিক শুক্ল পঞ্চমী তিথিটি খরনা নামে পরিচিত। এ দিন সন্ধ্যা বেলা রুটি বা লুচি, গুড়ের পায়েস রান্না করা হয়। ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদনের পর মহিলারা এই খাবার প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন। ২৬ অক্টোবর রবিবার খরনা। এই তিথিতে প্রসাদ গ্রহণের পর থেকে ৩৬ ঘণ্টার কঠিন ব্রত শুরু হয়।
সন্ধ্যাকালীন অর্ঘ্য: খরনার পরের দিন অর্থাৎ কার্তিক শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে অস্তগামী সূর্যের উপাসনা ও অর্ঘ্য দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যাবেলা গঙ্গা বা নিকটবর্তী কোনও পুকুরে গিয়ে জলে দাঁড়িয়ে সূর্যের উপাসনা করা হয়ে থাকে।
ঊষাকালীন অর্ঘ্য: ২৮শে অক্টোবর কার্তিক শুক্ল সপ্তমী তিথিতে ছট পুজোর সমাপ্তি ঘটবে। এ দিন উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়ে থাকে। এ দিনও গঙ্গা বা নিকটবর্তী পুকুরে গিয়ে জলে দাঁড়িয়ে সূর্যের উপাসনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ঘ্য দেওয়া সম্পন্ন হলে জল গ্রহণ করতে পারেন মহিলারা। এই দিনই ছট পুজোর সমাপ্তি ঘটে।
ছট পুজো এক অত্যন্ত পবিত্র ও বিশেষ উৎসব, যাকে সত্যিই আস্থার মহোৎসব বলা যায়। কার্তিক শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি থেকে ‘নাহায়-খায়’ রীতির মাধ্যমে এই পুজোর সূচনা হয় এবং সপ্তমী তিথিতে ঊষাকালীন অর্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। বিবাহিত মহিলারা পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি, সন্তানের মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস থেকে এই ব্রত পালন করেন। এই পবিত্র সময়ে নিয়ম মেনে ষষ্ঠী দেবী ও সূর্যদেবের পূজা সম্পন্ন করা হয়।
