আহমেদাবাদ, ৬ নভেম্বর : ‘আ গুজরাট মাই বানায়ু ছে।’ গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রথম দিনে গুজরাটি ভাষায় বিজেপির নতুন নির্বাচনী স্লোগান চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্লোগানের বাংলা করলে দাঁড়ায়, এই গুজরাট আমি বানিয়েছি। রবিবার ভালসাদ জেলার কাপারদায় এক জনসভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ”প্রতিটি গুজরাটি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। আর তাই নিজের অন্তরাত্মার সুরে কথা বলতে শোনা যায় গুজরাটিদের। প্রতিটি শব্দই আসে গুজরাটের হৃদয় থেকে।” এরপরই সভায় উপস্থিত জনতাকে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার উচ্চারণ করান – এই গুজরাট আমি বানিয়েছি।
আদিবাসী অধ্যুষিত ভালসাদ জেলার কাপারদায় গ্রামের সভা থেকে আদিবাসী সম্প্রদায় তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়ের আশীর্বাদ” নিয়ে তাঁর প্রচার শুরু করতে পেরে তিনি সম্মানিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমার কাছে ‘এ’ মানে হল আদিবাসী। আদিবাসী ভাই-বোনদের আশীর্বাদে আমার প্রথম নির্বাচনী সভা শুরু হল, এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের মুহূর্ত। এক সময় এই এলাকায় আমরা ডাক্তারের খোঁজ করতাম। আজ আদিবাসী এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ রয়েছে।”
আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির জয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত আস্থা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “মানুষ সব রেকর্ড ভেঙে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুজরাটের জনগণের যত সময় চাই, আমি দেব। আমি এবার আমার নিজের রেকর্ডই ভাঙব। ভুপেন্দ্রর রেকর্ড নরেন্দ্রর চেয়ে শক্তিশালী হবে। আমি এই লক্ষ্যেই কাজ করতে চাই। গুজরাটের মানুষ লড়াই করছে, ভূপেন্দ্র বা নরেন্দ্র নয়।”
তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আদিবাসী এবং গুজরাটের অন্যান্য সম্প্রদায়কে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য গুজরাটের উন্নয়নের চেতনায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। আমি দিল্লিতে থাকি ঠিকই, কিন্তু গুজরাট থেকেই সব শিখেছি।” কংগ্রেস দলের নাম না নিয়েই শতাব্দীপ্রাচীন দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যে বিভেদকামী শক্তিগুলি গত ২০ বছর ধরে রাজ্যের মানহানি করেছে, গুজরাট তাদের বর্জন করবে।”
আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দফায় নির্বাচন হবে গুজরাটে। ভোট গণনা করা হবে ৮ ডিসেম্বর। গত ৬টি বিধানসভা নির্বাচনে টানা জিতেছে বিজেপি। এবারও তাদের পাল্লা ভারী। তবে কংগ্রেসও নতুন করে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া। যদিও আম আদমি পার্টির দাবি, এবারের নির্বাচন আসলে তাদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের লড়াই।