গুয়াহাটি, ১৫ জুন: ডিমা হাসাও জেলার বুক চিরে ধাবিত লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। যার দরুন আজ শনি এবং রবিবার আটটি যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী সোমবার থেকে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ খবর জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত (এনএফ) রেলওয়ের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) রবিলেশ কুমার। তিনি জানান, তবে দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা চালু রয়েছে।
আজ শনিবার গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ের এনএফ রেলওয়ের সদর দফতরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ব্যাপারে তথ্য দিচ্ছিলেন এজিএম রবিলেশ কুমার। এজিএম বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের নিউ হাফলং রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি জায়গায় ট্র্যাকে পাহাড় থেকে কাদাজলের ধস নেমেছে।
ফলে ওই রুটে যাতায়াতকারী পাঁচটি ট্রেন আটকে রাখা হয়। তবে রেলের নিয়োজিত কর্মীরা সফলভাবে কাদাজল সরিয়ে ট্র্যাক পরিষ্কার করে আটকে রাখা ট্রেনগুলি চালু করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে হিল সেকশনে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এজিএম রবিলেশ কুমার বলেন, লামডিং-বদরপুর রেলপথ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন ডিমা হাসাও সহ দক্ষিণ অসমের তিন জেলা, প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা, মণিপুর এবং মিজোরামের যাত্রীরা প্রভাবিত হন।
প্রাসঙ্গিক এক প্রশ্নের জবাবে রবিলেশ বলেন, ভৌগোলিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ওই হিল সেকশনের স্যাটেলাইট জরিপ করা হয়েছে, যাতে পাহাড়ের গঠন, মাটির ভারসাম্য ও ধারণক্ষমতা পরীক্ষা করে ভূমিধসের স্থায়ী সমাধান করা যায়। তিনি বলেন, দক্ষিণ অসম তথা প্রতিবেশী তিন রাজ্যের জন্য বিকল্প রেলপথের সমীক্ষা চালাবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ হওয়ার আগে লংকা-চন্দ্রনাথপুর-শিলচর ব্রডগেজ রেলসড়কে জরিপ করা হয়েছিল। তার পর কোনও অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল করে লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হয়। তবে লংকা-চন্দ্রনাথপুর-শিলচর বিকল্প রেলপথ নির্মানের জন্য বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে পুনরায় এই বিকল্প রেলপথের জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ জরিপের কাজ শুরু করেছে।