দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ আলোচনা এবং একাধিক সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরেও কেন্দ্র তাদের দাবি না মানায় অবশেষে বিক্ষোভে নেমেছেন লাদাখের বাসিন্দারা। লে-তে রাজ্যের মর্যাদা-সহ বিভিন্ন দাবিতে স্থানীয়রা রাস্তায় নেমেছেন এবং এই বিক্ষোভ একসময় সহিংস রূপ ধারণ করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন এবং একাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দেন। এমনকি, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়েছে।
লাদাখকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে, ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল দ্রুত কার্যকর করতে হবে, লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন চালু করতে হবে এবং লাদাখে একটির বদলে দুটি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন সোনম। ম্যাগসাইসাই জয়ী ওই গবেষকের মতে, লাদাখ সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্তের কারণে ক্রমেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র না বেরনোয়, শেষে সপ্তাহ দু’য়েক আগে অনশনে বসেন বাস্তবের র্যাঞ্চো।
কিন্তু অনশন দু’সপ্তাহ হতে চললেও কাজের কাজ হয়নি। লাদাখের কোনও দাবিই মানেনি কেন্দ্র। শেষে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের পথে হাঁটেন লাদাখবাসী। বুধবার লাদাখে ধর্মঘট ডেকেছিল নাগরিক সমাজ। সেই ধর্মঘট সফল করতে এদিন সকাল থেকে লেহ’র রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন শয়ে শয়ে মানুষ। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে বিক্ষোভ সহিংস রুপ নেয়। কাশ্মীরে একসময় যে ছবি স্বাভাবিক ছিল, সেই পাথর ছোড়ার চেনা ছবি বুধবার দেখা গেল লাদাখের রাস্তায়। ভাঙা হল বিজেপির পার্টি অফিস। আগুন জ্বলল একাধিক পুলিশ ভ্যানে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যটিকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপরটি লাদাখ। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলেছে গত প্রায় বছর তিনেক। তবে এই ধরনের সহিংস আন্দোলন এই প্রথম।