দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারত হল ধর্মনিরপেক্ষ এক রাষ্ট্র। এদেশে কোনো রাজ্যে হিন্দু নাগরিকদের পরিসংখ্যান বেশি তো কোথাও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। রবিবার ৩ ডিসেম্বর ছিল চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। আর এবারে গেরুয়া ঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে কংগ্রেস। ছত্তিশগড়, রাজস্থান কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে আনার পাশাপাশি মধ্য় প্রদেশে হেসে খেলেই জয় পেয়ে নিজেদের কুর্সি দখল ফের একবার পাকা করে নিয়েছে গেরুয়া বাহিনী।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আর এই প্রচারে তাঁদের মূল অস্ত্র কিন্তু 'ধর্ম'। কারণ ভোটের পরিসংখ্য়ান অনেকটাই নির্ভর করে ধর্মের উপর। একাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মত কোন রাজ্যে কত শতাংশ হিন্দু-মুসলিম রয়েছে তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে কোনও রাজনৈতিক দলের জয়-পরাজয়। মনে করা হয় জয়ের অন্যতম খুঁটি ধর্ম। ধর্ম, সম্প্রদায় অনুযায়ী সাজানো হয় রাজনৈতিক দলের প্রচার স্ট্রাটেজি। ভোটের প্রচার পর্বে একাধিক সময় নেতা-নেত্রীদের গলায় উঠে এসেছে হিন্দুত্বের আদর্শ, কোথাও আবার সংখ্য়ালঘুদের মন জয়ের চেষ্টা।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশের তকমাপ্রাপ্ত ভারতে মোট হিন্দুর পরিসংখ্যান ৭৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্য়া ১২১ কোটি। ২০১১ সালে শেষবার ভারতে জনগণনা হয়েছিল। করোনার কারণে ২০২০-২১ সালে জনগণনা করা যায়নি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশের মোট জনসংখ্যা ৭.৬ কোটি। হিন্দুদের জনসংখ্য়া ৯০.৯ শতাংশ। অর্থাৎ মধ্য প্রদেশে ৬.৬ কোটি হিন্দু রয়েছে।
মধ্য় প্রদেশে ৮৭ লাখেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। মুসলিম জনসংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬.৫৭ শতাংশ।