দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এটা মূলত মাঝি-মল্লাদের রান্না। দীর্ঘদিন জলে যারা ভেসে থাকে স্টিমারে করে। সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই তাদের এই মাংস রান্না। মূলত দরিদ্র মুসলমান মাঝিরাই এই মুরগির ঝোল রাঁধতেন। শোনা যায়, সেই রান্নার গন্ধে নাকি চারদিক ম ম করত। জিভের জল আটকে রাখতে পারতেন না সনাতনী হিন্দুরাও। সেই চিকেন কারি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে পরবর্তী সময়ে সেই গোয়ালন্দ ঘাটে হোটেল খুলে সেই মাংস রান্না বিক্রি হত রমরমিয়ে। শুধু বাংলাদেশই নয়, সুন্দরবনের মাঝিদের মধ্যেও এই চিকেন কারি বেশ প্রচলিত ছিল।
উপকরণ -
* মুরগির মাংস
* কুঁচো চিংড়ি
* পেঁয়াজ
* আদা কুচি
* রসুন কুচি
* শুকনো লঙ্কা কুচি
* কাঁচালঙ্কা কুচি
* নুন
প্রণালী -
** মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন।
** চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার চিংড়িগুলো বেটে নিন।
**পেঁয়াজ, আদা এবং রসুন যতটা সম্ভব মিহি করে কুচিয়ে কাটুন। তিনটি উপকরণই অনেকটা লাগবে।
** কাঁচালঙ্কা এবং শুকনো লঙ্কা দুটোই কুচিয়ে নিন।
** এবার একটি পাত্রে চিকেন, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি, শুকনো এবং কাঁচা লঙ্কা কুচি নিয়ে খুব ভালো করে কচলে মাখতে থাকুন। কম করে দশ মিনিট ধরে সমস্ত উপকরণ মাখতে হবে।
** এবার এতে দিয়ে দিন বেশি খানিকটা পরিমাণ সর্ষের তেল, স্বাদ অনুসারে নুন এবং হলুদ। ফের মাখুন।
** ঘণ্টা দুয়েক ম্যারিনেটেড মাংস ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
** ঘণ্টা দুয়েক ম্যারিনেট করার পর এবার এতে দিন চিংড়ি বাটা এবং আরও খানিকটা সর্ষের তেলে। ফের সেগুলি মেখে নিন।
** এবার কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে তাতে মাখা মুরগির মাংস দিয়ে নাড়তে থাকুন। খুব ভলো করে মাংস কষাতে হবে।
** মাংস ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। যাতে কড়ায়েই লেগে না যায়। মোটামুটি আধ ঘণ্টা ধরে মাংস কষাতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং তা থেকে তেল বের হতে শুরু করলে সামান্য জল দিয়ে ফের নাড়তে থাকুন।
** মিনিট দশেক ঢাকা দিয়ে রাখুন। শেষে ওভেন বন্ধ করে দিয়ে আরও দশ মিনিট ঢেকে রাখুন।
** গরম গরম ভাতের সঙ্গে গোয়ালন্দ স্টিমার মেখে যখন মুখে তুলবেন, তখন দেখবেন রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে গেছেন।