
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্য এক জনসভা থেকে আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি আইএসএফ কর্মীদের মাটিতে চাপা দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। শওকত আরও মন্তব্য করেন যে, তাঁর নিজস্ব দলের 'বিশ্বাসঘাতকদের' (গদ্দার) ভাঙড়ের জনসাধারণ 'জামা খুলে নেবে'। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শওকতের এই হুঙ্কার এবং হুমকিমূলক বক্তব্যে ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে, আইএসএফ নেতৃত্ব এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নয়।কয়েকদিন আগেই ভাঙড়ের ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বৈঠক চলাকালীন শওকত মোল্লাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইএসএফ নেতৃত্ব। এমনকি বিধায়ককে দেখে 'চোর চোর' বলে স্লোগান দিয়েছিল আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। গোটা ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন আইএসএফ নেতা কারিমুল ইসলাম।
ভাঙড়ের কাঁটাডাঙায় একটি দলীয় কর্মিসভা করেন শওকত। সেই সভায় শওকত কারিমূলের উদ্দেশে বলেন, 'ওকে মাটিতে পুঁতে দেব।' তাঁকে ঘেরাও করা প্রসঙ্গে বলেন, 'ওদের বিধায়ক গত চার বছরে ভাঙড়ে কোনও কাজ করেননি। তাও ভাঙড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আমরা কোনও নোংরামো করিনি। এ বার যদি ওরা আমাদের পিছনে লাগে তা হলে ভাঙড়ে ওদের বিধায়ক ঢুকতে পারবে না। সব রাস্তা বন্ধ করে দেবো আমরা।'বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে বিষোদগার উগরে দিচ্ছেন ভাঙড়ের একদা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। এ দিন সেই প্রসঙ্গে বলেন, 'কয়েকজন গদ্দার আছে। যারা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে, ভাঙড়টা ওরা বেচে খেয়েছে। মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। ভাঙড়ের মানুষ ওদের গা থেকে জামা খুলে নেবে।'রবিবারের জনসভা উপলক্ষ্যে ভাঙড়ের প্রতিটি অঞ্চল থেকে অটো, টোট, ম্যাটাডোর, বাসে করে লোক হাজির হন কাঁটাডাঙায়। সভার জেরে ভাঙড়ের ৯১ নম্বর বাস রোডে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, 'ভাঙড়ে জয়লাভ করা শওকত মোল্লার দিবাস্বপ্ন। ওদের দম থাকলে আমাদের বিধায়কের পথ আটকে দেখাক। শুধু ভাঙড় নয় গোটা রাজ্য আমরা স্তব্ধ করে দেব।'
