দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোরেনের গ্রেফতারির পর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ফের বিজেপিকে আক্রমণ মমতার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই অবিজেপি শাসিত রাজ্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মত তাঁর।
এক্স পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘‘শক্তিশালী আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপির কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটি নির্বচিত সরকারকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে। এটা প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র।’’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘‘হেমন্ত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁর পাশে দাঁড়ানোর শপথ করছি। ঝাড়খণ্ডের মানুষ এর জবাব দেবে এবং হেমন্ত কঠিন যুদ্ধে জয়ী হবেন।’’
হেমন্তকে গ্রেফতারের সময়ে মমতা ছিলেন জেলা সফরে। বৃহস্পতিবার অবিজেপি নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে মমতা সরব হন। তবে হেমন্তের নাম করেননি। শান্তিপুরের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘তোমরা ভোটের আগে মাঠ ফাঁকা করবে বলে সবাইকে গ্রেফতার করছ। মনে রেখো, আমাকে জেলে পুরলেও আামি জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসব!’’
প্রায় ৬০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বুধবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তাঁকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে রাজভবনে যান সোরেন। সেখানেই তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর ইডি তাঁকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি কবিতা লিখে হেমন্ত বুঝিয়ে দেন, প্রতি মুহূর্ত তিনি লড়াই করছেন, আগামী দিনেও লড়াই করবেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের পরিবহণ মন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন নির্বাচিত বিধায়করা। তাঁকে ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তবে হেমন্তের গ্রেফতারির পর অন্যান্য কেন্দ্র বিরোধী দলগুলিও সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপির।