দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যে কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ হলেই আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা অব্যাহত থাকে বাম ও তৃণমূলের। কেউ কাউকে বিঁধতে ছাড়ছে না। তবে এসবের মধ্যেই এক সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল বেলেঘাটার গান্ধী ভবন। মঙ্গলবার, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রায় একই সময়ে ভিন্ন কর্মসূচি ছিল বাম ও তৃণমূলের। সেখানেই ধরা পড়ল রাজনৈতিক সৌজন্যের এক সুন্দর ছবি। তৃণমূলের মানব বন্ধন কর্মসূচির জন্য নিজেদের কর্মসূচিতে মাইক বন্ধ রাখলেন রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। দুই কর্মসূচির ফারাক ছিল পঁচিশ মিটারের মতো।
গান্ধীভবনের কাছে আজ সকালে জোড়া কর্মসূচি ছিল। একটি বামেদের। অন্যটি তৃণমূলের। তৃণমূলের মানব বন্ধন কর্মসূচি চলছিল, তখন গান্ধীভবনের কাছে মঞ্চ বেঁধে বক্তব্য রাখছিলেন বাম নেতারা। মাত্র কয়েক পা ব্যবধানেই দুই দলের দুই কর্মসূচি। সেই সময় তৃণমূলের মানব বন্ধন কর্মসূচির জন্য বামেদের কর্মসূচির মাইক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখা হয় বাম নেতৃত্বের তরফে।
আবার অন্যদিকে বামেরা যখন আজ বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মালা দিচ্ছিলেন, তখন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পালও। বামেদের সকলের মালা দেওয়া শেষ না পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন তিনি। মাঝে অল্প বিস্তর কথাও বললেন বাম নেতাদের সঙ্গে। বাম নেতাদের সবার শ্রদ্ধা নিবেদন হয়ে যাওয়ার পর বিধায়ক গান্ধী মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।
রাজ্য রাজনীতিতে দিনভর রাজনীতির যে কচকচানি লেগে রয়েছে, যেভাবে প্রতি নিয়ত বাম ও তৃণমূল একে অন্যের বিরুদ্ধে কার্যত বিষোদগার করছে, সেরকম একটা সময়ে এই দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই সৌজন্যের রাজনীতিতে এক নতুন বার্তা দেয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।