দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই সেতু হুগলির বাঁশবেড়িয়া থেকে নদিয়ার কল্যাণী পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সেতুই দুই জেলার জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম। সেতুর একাধিক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে দীর্ঘ আট বছর ধরে। হুগলির ঈশ্বর গুপ্ত সেতু নিয়ে সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পাশেই নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও কবে সেই কাজ শেষ হবে?
১৯৮৯ সালে বাম আমলে হুগলি নদীর উপর তৈরি হয় ১কিমি দীর্ঘ হুগলির বাঁশবেড়িয়া ও নদিয়ার কল্যাণীর সংযোগকারী সেতু ঈশ্বরগুপ্ত সেতু। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম এই সেতুর কয়েকটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়।সেই সময় সেতুর ২ এবং ৩ নম্বর পিলারের গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়। তারপর বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে ফের ৪ এবং ৫ নম্বর পিলারে ফাটল দেখা গিয়েছিল সেই থেকেই ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর উপর ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সেতুর দুই পাড়ে হাইটবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। সাত ফুটের হাইটবার লাগিয়ে দেওয়ার ফলে বড় গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, বড় ট্রাক কিছুই পারাপার করতে পারে না এই সেতু দিয়ে। যার ফলে সমস্যায় পড়েন বহু সাধারণ মানুষ থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চালক। সমস্যা রয়ে গিয়েছে দীর্ঘ আট বছর ধরে। আজও সেতু দিয়ে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ।
নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান সংযোগকারী এই সেতু। একদিকে পুরনো দিল্লী রোড ও অন্য দিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক (বর্তমানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক) কেও সংযোগ করে এই সেতু। ছোট গাড়ি চললেও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে কাজে লাগে না এটি পণ্যবাহী গাড়িকে শান্তিপুরের গৌরাঙ্গ সেতু অথবা গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট থেকে পারাপার করতে হয়।