দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত মুঠোফোন। আর ডেটা অর্থ্যাৎ নেটপ্যাক ছাড়া মুঠোফোনটা অচল তা বলাই যায়। নেটের অবর্তমানে আপনার ফোনে উপস্থিত সব অ্যাপ সম্পুর্নরূপে নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সমগ্র জগৎ এর সাথে। এমতাবস্থায় ফোন শুধু ব্যবহার করা যায় কথা বলার মাধ্যম হিসেবে। বেশিরভাগ রিচার্জ প্ল্যানেই ডেটা প্যাক লিমিটেড থাকে, তাই অতিরিক্ত ব্যবহার হলে নেটের স্পিড অনেকটাই কমে যায় আর নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ব্যবহারকারীদের।
অনেক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, কোথাও যাচ্ছেন, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন? অথচ নেট শেষ তখনই তৎক্ষণাৎ নেট রিচার্জ করতে হয়। আর প্রতিদিন এমন নেট রিচার্জ করতে অর্থও ব্যায় করতে হয়। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যার সমাধান নিশ্চিত। নিম্নে উল্লেখিত হলো কয়েকটি টিপস,
১) হাই কোয়ালিটি ভিডিও ও অডিও বন্ধ: হাই কোয়ালিটির ভিডিও চালালে প্রচুর ডেটা খরচ হয়। অডিওতেও তাই। স্মার্টফোনে লো কোয়ালিটির ভিডিও কিংবা অডিও-ই স্ট্রিম করা উচিত। এতে প্রচুর ডেটা বাঁচবে।
২) পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার: সম্ভব হলে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে হবে। নিজের ফোনের ডেটা বাঁচানোর এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়।
৩) অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট: স্মার্টফোনে সাধারণত ৪ থেকে ৫টি অ্যাপই ব্যবহার করেন ইউজাররা। বাকি অ্যাপগুলো জায়গা জড়ো করে রাখে। এর মধ্যে অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে অন থাকে। ফলে ডেটা খরচ হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করে ফেলাই ভাল। এতে অনেক ডেটা বেঁচে যাবে।
৪) অটো আপডেট বন্ধ: মোবাইলে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়। ইউজারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। অটোমেটিক আপডেট বন্ধ রাখতে হবে। এতে প্রচুর ডেটা খরচ হয়।
৫) ডেটা সেভিং মোড অন: ইদানীং প্রায় সব স্মার্টফোনেই ডেটা সেভিং মোড। নেট বাঁচানোর এটা অন্যতম কৌশল হতে পারে। ডেটা সেভিং মোড অন রাখলে নেট খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়, নেটও বাঁচে।
৬) ক্লাউড স্টোরেজের কম ব্যবহার: ক্লাউড স্টোরেজে ফাইল সিঙ্ক করতে অনেক ডেটা লাগে। তাই নেট বাঁচাতে চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ কম ব্যবহার করাই ভাল।
৭) ব্রাইজিং সেটিংসে ছোট বদল: ব্রাউজারে ডেটা সেভিং মোড রয়েছে। সেটা অন রাখতে হবে। এর সঙ্গে অ্যাড ব্লকারও ব্যবহার করা উচিত। এতেও ডেটা সাশ্রয় হবে।
৮) সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার: স্মার্টফোন হাতে নিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেটে যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই অ্যাপগুলোতেই ডেটা সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৯) লোকেশন সার্ভিস অফ: যখন লোকেশন সার্ভিসের প্রয়োজন নেই, তখন অফ করে রাখলে অনেক ডেটা বাঁচবে।