দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোটের গরম প্রায় শেষ। তবে ভোট শেষ হলেও আবহাওয়ার গরম আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার এই তীব্র গরমেও বাঁকুড়ায় ফলছে সবুজ আপেল। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত হবে তীব্র গরমেও চাষ করা হচ্ছে সবুজ আন্না আপেল। প্রথমত বাঁকুড়ার মাটি এবং বাঁকুড়ার আবহাওয়া একদমই উপযুক্ত নয় আপেল চাষের জন্য। কিন্তু সব রকম প্রতিকূলতাকে জয় করে আপেল ফলাতে তৎপর বাঁকুড়া জেলার জেলা উদ্যান পালন দপ্তর এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বাদেও এগ্রিকালচারাল ফার্ম এবং কৃষকরা। বিকল্প চাষের সন্ধানে অনেক কৃষক অনেক নতুন পথে যাচ্ছেন। বাঁকুড়ার তৈরি হচ্ছে ১২ মাসি আপেল। একদম গাঢ় সবুজ রঙের রসালো আপেলের চাহিদাও যথেষ্ট। আশ্চর্য ব্যাপার এই তীব্র গরমেও বাঁকুড়ায় ফলছে সবুজ আপেল। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত হবে তীব্র গরমেও চাষ করা হচ্ছে সবুজ আন্না আপেল। প্রথমত বাঁকুড়ার মাটি এবং বাঁকুড়ার আবহাওয়া একদমই উপযুক্ত নয় আপেল চাষের জন্য। কিন্তু সব রকম প্রতিকূলতাকে জয় করে আপেল ফলাতে তৎপর বাঁকুড়া জেলার জেলা উদ্যান পালন দপ্তর এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বাদেও এগ্রিকালচারাল ফার্ম এবং কৃষকরা। বাঁকুড়ায় মূলত চাষ করা হচ্ছে HRMN-99 , আন্না এবং দসার্ট। রয়েছে বাঁকুড়ার পরশমনি এগ্রো প্রডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাঁকুড়ার ছাতনার বিডিও অফিস, যেখানে ছাতনা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশুতোষ প্রামাণিক। অফিস প্রাঙ্গনে চাষ করছেন সবুজ আপেলের। বাঁকুড়ার লাল রুক্ষ সূক্ষ্ম মাটিতে এই তীব্র গরমেও কিভাবে ফুলসে আপেল সেই প্রশ্ন করা হয় উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় সেনগুপ্ত কে তিনি জানান, " আপেল চাষে একমাত্র বাধা হল ফলনের সময়ের তাপমাত্রা। আন্না আপেল বা সবুজ আপেল ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ৮ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা খুব কমই বাঁকুড়া জেলায় আমরা পাই। একবার ফলন হয়ে গেলে প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এই আপেল।" ফলে কৃষি দফতর চাষের নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন।
শীতকালে কোন এক সময় যখন তাপমাত্রা ৫ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে তখন আপেল অঙ্কুরিত হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না চাষাবাদে। সেই কারণেই এই তীব্র দাবদাহে ও বাঁকুড়ার লাল রুক্ষ সূক্ষ্ম মাটিতে ফলছে সবুজ আপেল। সঞ্জয় সেনগুপ্ত আরও জানান যে "যেকোনও পরীক্ষামূলক চাষাবাদে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগে সম্পূর্ণভাবে সফলতা পেতে, ২০১৩ সালে আমরা আঙুর লাগানো শুরু করেছিলাম বাঁকুড়া জেলায়। এখন বাঁকুড়া জেলার দিকে দিকে বিভিন্ন ধরনের সুমিষ্ট আঙ্গুর পাওয়া যায়। আশা করছি আপেলও চাষ করে আমরা বাইরে রপ্তানি করতে পারব"।