দুরন্ত বার্তা ডিজটাল ডেস্কঃ এবার Tata স্টিলে চাকরি করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রথমবার ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগের কথা ঘোষণা করল দেশের অন্যতম নামি এই শিল্প সংস্থা। যা নিয়ে কোম্পানির তরফে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সেখানে Tata স্টিল ও Tata গ্রুপের সহায়ক সংস্থায় চাকরির জন্য রূপান্তরকামীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
Tata গ্রুপের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী ট্রান্সজেন্ডারদের 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের পাশাপাশি তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে বলা হয়েছে। আবেদনকারীর বয়সসীমা 1 জানুয়ারি 1984 থেকে 1 জানুয়ারি 2006-র মধ্যে হতে হবে।
Tata স্টিলে চাকরি করতে আগ্রহী রূপান্তরকামীদের যে কোনও স্বীকৃত বোর্ডের দশম উত্তীর্ণর শংসাপত্র থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার উপর থাকতে হবে দখল। ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়াদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য় প্রার্থীদের বেছে নেবে Tata গ্রুপ। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বাধ্যতামূলকভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। সেখানে আবেদনকারীর তরফে জমা দেওয়া নথি খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসক ও Tata-র নিয়োগ আধিকারিকরা। সেই কারণে কোনও রকমের ভুয়ো নথি জমা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে Tata স্টিল।
প্রসঙ্গত, এর আগে রূপান্তরকামীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরিতে নিয়োগ করেছে সরকার। তামিল নাড়ু, বিহার-সহ কয়েকটি রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদেও চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। যদিও রূপান্তরকামীদের নিয়ে এতোদিন সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি কোনও বেসরকারি সংস্থা। Tata-ই প্রথম তাঁদের নিয়োগের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভবিষ্যতে দেশের ভারী শিল্প, অটো মোবাইল ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগের দরজা খুলতে পারে রূপান্তরকামীদের। তাঁদের নিয়ে ছুঁৎমার্গ কমছে। Tata-র দেখা দেখি অন্যান্য সংস্থাও এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
চলতি বছরে লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় 12 হাজার কনস্টেবল নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে রূপান্তরকামীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। রাজ্য় পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, 12 হাজারের মধ্যে 3,600 লেডি কনস্টেবলের চাকরি হবে। বাকি, 8,400 জনের মধ্যে থাকবেন পুরুষ ও রূপান্তরকামীরা।
কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, ট্রান্সজেন্ডারদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলা কনস্টেবলদের চেয়ে যোগ্যতা মান কিছুটা কঠিন রাখতে চাইছেন পুলিশ কর্তা। যদিও তা পুরুষদের তুলনায় তা সহজ রাখার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।