দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নিজের কাকার দোকান থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিপণনের মঞ্চে হাজারো খুচরো-পাইকারি বিক্রেতা এবং প্রস্তুতকারকদের ব্যাবসায়িক লেনদেনে বিপ্লব এনেছেন প্রভাস চন্দ্রগিরি। এই ২০ বছর বয়সী কিশোর সপ্টেল (Soptle) নামক একটি সংস্থার কর্ণধার। এই সফটওয়্যারটির কাজ হল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী এবং বিক্রেতাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান।
মাত্র ১৭ বছর বয়েসে চন্দ্রগিরি আরএফটি (Rural Future Technology) নামক একটি নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্মে যোগদান করেন এবং উড়িষ্যার মোট ৯ টি জেলায় ১২০০-র কাছাকাছি দোকানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
ছবি সৌজন্যেঃ businessnewsthisweek
NDTV এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী চন্দ্রগিরি এই উদ্যোগের সর্বকনিষ্ঠ সিইও হিসাবে সেই অঞ্চলের স্থানীয় দোকানের মালিকদের সাথে ২০ টিরও বেশি আঞ্চলিক ব্র্যন্ডের পরিচয় করিয়ে দেন যা এই উদ্যোগের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেয়। ৬০ লক্ষের বার্ষিক টার্নওভার সহ এই উদ্যোগটি এতই লাভজনক হয়ে ওঠে, যে মিস্টার চন্দ্রগিরিকে তার নিজস্ব কোম্পানি - Soptle শুরু করতে উদ্যত হন। মিস্টার চন্দ্রগিরির মতে, Soptle একটি প্রথাগত FMCG সরবরাহ পদ্ধতির অপ্রয়োজনীয় উপাদানগুলিকে দূর করে, প্রক্রিয়াগুলিকে সুগম করে তোলে। চন্দ্রগিরি বলেছেন, "আমরা Soptle-এ এই খাওয়ার কিছু উপাদানকে অপ্রয়োজনীয় হিসাবে চিহ্নিত করেছি। এমনকি পণ্য চলাচলের জন্যও তাদের প্রয়োজন হয় না। আমরা সিএন্ডএফ, জেনারেল সিএন্ডএফ, সুপারস্টকস্ট, স্টকিস্টকে অপ্রয়োজনীয় গ্রাসকারী উপাদান হিসাবে বিশ্বাস করি" তিনি মনে করেন, "সরবরাহকারী এবং পাইকারি বিক্রেতারাই সাধারণ ব্যাবসার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তারা একটি বিশেষ FMCG সরবরাহ চেন তৈরি করেছে যা ব্যবসার উন্নতি এবং লাভের লক্ষে নিয়ে অবিরাম কাজ করে চলেছ।
এই অ্যাপের কর্ম পদ্ধতির বিষয় আলোকপাত করে চন্দ্রগিরি বলেন, " আমরা FMCG প্রস্তুতকারকদের সারা দেশ জুড়ে সরবরাহের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছি যা তাদের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। Soptle একটি বিশেষ টেক-সরবরাহকারী চ্যানেল এবং মার্কেটিং লিঙ্কেজের ব্যাবহার করে যা প্রস্তুতকারকদের ব্যাবসায় সহায়তা করে। মিঃ চন্দ্রগিরি বলেছেন যে Soptle এর ৫০ হাজারেরও বেশি বিক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এটি ২ থেকে ৩ গুণের মাসিক আয় বৃদ্ধির রেকর্ড স্থাপন করেছে।
ছবি সৌজন্যেঃ asiatechjournal
নিজের পরবর্তী প্ল্যানের ব্যাপারে চন্দ্রগিরি বলেন, "প্রযুক্তিগত দিকে আমাদের উন্নতি করতে হবে, টেকনোলজির টিম এবং সরবরাহের নেটওয়ার্ক ১৫ থেকে ২০গুন বাড়াতে পারলে এই উদ্যোগ আগামী বছরগুলিতে ১০০ গুণ লাভ করবে। পরবর্তী লক্ষ হিসেবে বলতে গেলে আমি চাই ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের সারা বিশব্যাপি উপস্থিতি"।