বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন : আধুনিকতার চাষে নব কৃষাণকে কাছে পেয়ে সাফল্য সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে গ্রাম বাংলার কৃষকেরা। বোরো ধান রোপনের পূর্বে ঋন নিয়ে বীজ ফেলেছিনের জনৈক চাষী উত্তম বাগদী। চাষের উপর নির্ভরশীল পরিবারটি বীজ রোপনেই নেমে আসে হতাশা। মাঠের মধ্যেই কাঠার পর কাঠা বীজতলা ধানবীজ কোন অজ্ঞাত কারণে লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে বসে। চাষের পূর্বেই আশানুরূপ বীজ না হওয়ায় একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন চাষী উত্তম বাগদী। একরাশ স্বপ্ন এবং আশায় বুক বেধে মরসুমে পূর্বেই বিঘার পর বিঘা ফলন মুখ থুবড়ে পড়েছিল আর তাই কার্যত রাতেই ঘুম উড়েছিল। স্বল্প পুজির ও ঋণের বোঝায় জর্জরিত চাষীর আশানুরূপ গাছের বীচ তাই গোটা পরিবারই ছিল চিন্তাগ্রস্থ। বাড়িতে কাট কাটতে কাটতে হঠাৎ একদিন কে জেনো দরজায় কড়া নাড়ে। দেখা যায় নব- কৃষাণ নামক এক বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মী দরজায় এসে হাজির। উত্তম বাবুর এই অসময়ে ফলনের হাল ধরতে এ যেনো এক দেবতার পঠানো দূত। কিন্তু ইদানিং গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি হাজারো সংস্থা। সংস্থার জিনিস ব্যাবহারে চাষীর ফলাফল খারাপ হওয়ার মতোও একাধিক সংবাদ মিলেছে এলাকায়। আর তাতেই একরাস আতঙ্কের ছাপ চাষির মনে। ভরসা ও বিশ্বাসের জায়গাটা একপ্রকার উড়েই গিয়েছিল চাষির কাছে থেকে। তাই তাদের কে ঘরে ডেকে সব কথা শুনেই মন মানেনি তাদের তৈরি ঔষধ,সার ও কিটনাষক ব্যবহারে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই সব হাল ছেড়ে দিয়েই নব-কৃষাণ নামক সংস্থার ওই কর্মীদের উত্তম বাবু তার জমিটি নিয়ে গিয়ে দেখায় এবং জমিটির পরিচর্যা ও ঔষধ সামগ্রী ব্যাবহারের পরামর্শ দিতে বলেন। সংস্থাটি তাদের ব্যাবহৃত জিনিস দিয়ে জমিটি পরিচর্যা শুরু করেন। গাছের উপর ব্যাবহার করেন সামান্য সার ও তাদের ঘরোয়া টোটকার অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি সংস্থার কর্মিরা প্রতিদিন এসে দেখে যায় চাষের হাল ও গাছের দশা। লাল হয়ে ওঠা সেই বীচের জমি কয়েক দিনের মাথায় হয়ে ওঠে ঘন সবুজ। ধান রোপনের পূর্বে এরকম অসাধারণ বীচ উত্তম বাবু তার দীর্ঘদিনের চাষের জীবনে দেখেননি। ফলে অনেকটাই চিন্তা গ্রস্থ উত্তমবাবু খুশি তার পরিবারও |