দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্ৰথমেই বলে রাখি নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে এ যুগের যুবকেরা আর মাঠে পড়ে থাকতে চাইছে না। ফলে কৃষকের ছেলে কৃষক - এই কনসেপ্ট পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে কৃষিতে কৃষকের সংখ্যা কমছে। এছাড়াও কৃষির খরচ কমানোর দিকেও লক্ষ ফেলে চালু হয়েছে 'সমলয়' পদ্ধতিতে চাষ। এক পদ্ধতি কী? কৃষি বিজ্ঞান বলছে, পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন তাঁরা সমলয়। নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ।
ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ শুরু হয়েছে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে নেত্রকোণার সদর ও মদন উপজেলার দুই এলাকায় বোরো ধান আবাদ করা হয়েছিল। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০ একর করে মোট ১০০ একর জমিতে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সমলয় চাষ পদ্ধতিতে এই আবাদ করা হয়। কৃষকরা জানান, সমলয় পদ্ধতিতে চাষে খরচ কম হয়েছে, ফলনও বেশি হয়েছে। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে আবাদ করতে আগ্রহী। কৃষি আধিকারিক জানান, ''সমলয় পদ্ধতির প্রদর্শণীমুলক আবাদে মিলেছে সফলতা। দেশের খাদ্যঝুঁকি মোকাবেলায় আদর্শ আবাদ হিসেবে সমলয় পদ্ধতির চাষকে ছড়িয়ে দেয়া হবে। গড়ে কাঠা পিছু এক মন ধানের ফলন বেশি হয়ে দুই প্রকল্পে ১০০ একরে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪০০ টন ধান।”