দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃএবার ট্রেনের কামরায় পাবেন সুস্বাদু খাবার। সেই কারণেই একের পর এক কোচ রেস্তোরাঁ চালু করছে রেলওয়ে।তবে শুধু রেলযাত্রীরা নন, পর্যটকদের কাছেও বর্তমানে রেল রেস্তোরাঁ একটি অন্যতম গন্তব্য। অর্থাৎ রেলযাত্রী নন এমন ব্যক্তিরাও এই রেল রেস্টুরেন্টের সুবিধা নিতে পারেন। এর জন্য কাটতে হবে না -কোনও টিকিট বা করতে হবে না রেল সফর। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে বাইরে থেকে মনে হবে কোনও লাক্সারি রেলের কামরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে রেস্টুরেন্টের। খাবারও মিলবে সব। ভেজ থেকে শুরু করে ননভেজ, আপনি অর্ডার করলেই চলে আসবে ডিশ। উত্তর- পূর্ব রেলের তরফে এনজেপি স্টেশনে আগেই শুরু হয়েছে কোচ রেস্তোরাঁর পথ চলা। এবারে কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়াতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল নতুন কোচ রেস্তোরাঁ।
এ প্রসঙ্গে ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম জানান রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী, বক্সা যাওয়া যায়। কালচিনি, আলিপুরদুয়ারও সামনে। তাই পর্যটকদের সমাগমের বিষয়টি নজরে রেখে কোচ রেস্তেরাঁর চিন্তাভাবনা হয়েছে রাজাভাতখাওয়াতে।
প্রসঙ্গত, রেল কোচ রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার পর একের পর এক এমন রেস্টুরেন্ট চালু করছে রেলওয়ে। এমনকি চলতি বছরে বন্দে ভারত কোচ রেস্তোরাঁও চালু করা হয়েছে। পুরাতন মালদা কোর্ট স্টেশনে এই কোচ রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছে। সেই কামরার মধ্যে রয়েছে এসিও। এই কোচেও মেনুতে রয়েছেন মাটন হান্ডি ও নিরামিষ থালি। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছিল।এমনই অপর একটি রেল কোচ রেস্তোরাঁ রয়েছে এনজেপি স্টেশনে ঢোকার মুখে। রেলের ওই রেস্তারাঁটি রীতিমতো সাড়া ফেলে চলছে।
এই রেল কোচগুলো চালুর একাধিক লাভ রয়েছে। সাধারণত টেন্ডার ডেকে রেলওয়ে এই কোচগুলোকে চালানোর দায়ভার বেসরকারি হাতে তুলে দেয়। যা থেকে অর্থ আসে রেলের কোষাগারে। পাশাপাশি যাত্রীরা সুবিধা পান। এছাড়াও, এই রেল কোচ রেস্তোরাঁয় স্থানীয় কর্মী নিয়োগ হওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের ও কাজের সংস্থান হয়েছে।