দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্ধর্ষ গরমে কাহিল বঙ্গবাসী। তবে এমন দহনদিনেও বাচ্চাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত বাইরের খাবার খেয়ে চলেছে। আর সেই কারণেই তাদের সঙ্গী হচ্ছে পেটের সমস্যা। তাই সন্তানকে গরমের দিনে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে তাকে রোজ রোজ বাইরের খাবার বা পানীয় খেতে দেওয়া চলবে না। বরং তাকে বাড়িতেই হালকা করে রান্না করে খাওয়ান। আশা করছি, তাতেই পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকবে সন্তান।
তবে অনেক সময় এক-আধদিনের অনিয়মেও বাচ্চাদের পিছু নিতে পারে লুজ মোশান। তবে এমন পরিস্থিতিতে ভয় পাবেন না। বরং সমস্যার সমাধান করতে তার পাতে জায়গা করে দিন কয়েকটি অতি পরিচিত খাবারকে। ভাবছেন নিশ্চয়ই কোন কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়? সেই উত্তরই দেওয়া হল এই নিবন্ধে। তাই ঝটপট এই নিবন্ধটি পড়ে ফেলুন।
কলার জুড়ি মেলা ভার
এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে। আর এইসব উপাদান কিন্তু ডায়ারিয়া বা লুজ মোশানকে বাগে আনার কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, কলা হল অত্যন্ত সহজপাচ্য একটি ফল। এমনকী এতে মজুত কার্ব খুব দ্রুত এনার্জি দেয়। তাই সন্তানের লুজ মোশান শুরু হলে তাকে একটা ছোট সাইজের কলা খাওয়াতেই পারেন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
খাওয়ান দই
লুজ মোশানের সময় অন্ত্রে মজুত থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া বেঘোরে প্রাণ হারাতে থাকে। তাই সন্তানের কোলনে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চাইলে তাকে রোজ এক বাটি দই খাওয়ান। এই কাজটা করলেই কিন্তু ফিরবে তার অন্ত্রের হাল। ফলে সহজেই লুজ মোশানের মতো সমস্যাকে বাগে আনা সম্ভব হবে।
তবে মনে রাখবেন, উপকার পেতে চাইলে সন্তানকে টক দই খাওয়াতে হবে। মিষ্টি দই খাওয়ালে কিন্তু এই লাভ পাবেন না।
আপেলই মহৌষধি
পেটের ছোট-বড় সমস্যা প্রতিরোধের কাজে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। এমনকী লুজ মোশানকে কন্ট্রোলে আনতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই ফল। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সলিউবল ফাইবার। আর এই উপাদান কিন্তু মলকে শক্ত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সন্তানের লুজ মেশান শুরু হলে তাকে একটা আপেল খাওয়াতেই পারেন। তাতেই মিলবে উপকার।
ভাতের বিকল্প নেই
আমাদের অতি প্রিয় ভাত কিন্তু সরল কার্বের ভাণ্ডার। তাই ভাত খুব সহজেই হজম করা যায়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত স্টার্চের গুণে মেলে এনার্জি। তাই সন্তান লুজ মোশানের ফাঁদে পড়লে তাকে কিছুটা পরিমাণে ভাত খাওয়ান। তবে এই সময় ভুল করেও ভাতের সঙ্গে তেল-মশলাদার কোনও তরকারি মেশাবেন না। এই কাজটা করলে কিন্তু সন্তানের সমস্যা আরও বাড়বে।
নারকেলের জলই সেরা পানীয়
লুজ মোশান হলে শরীর থেকে জলের পাশাপাশি খনিজও বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় এমন পানীয় খেতে হবে যাতে দেহে জলের ঘাটতি যেমন মিটে যাবে, ঠিক তেমনই ফিরবে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য। আর এমনই একটি অত্যন্ত উপকারী পানীয় হল ডাবের জল। তাই সন্তানের পায়খানা শুরু হলে সবার প্রথমে তাকে ডাবের জল খাওয়ান। ব্যস, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।