দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হওয়ার ভাবনা মনে আসতেই চিনি খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। চায়ে চিনি বাদ, রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধ, ফ্রিজ়ে মিষ্টি থাকলেও সচেতন ভাবেই সে দিকে হাত যায় না। ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে জীবন থেকে চিনি বাদ দিয়ে দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তা ছাড়া চিনি অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। চিনি খাওয়া থেকে দূরে থাকলে সুস্থ থাকাও সহজ হয় অনেক। ত্বক ভাল থাকে। চিনির সঙ্গে ত্বকের শত্রুতা আছে। তাই চিনি ত্বকের ক্ষতি করে। অকালবার্ধক্যের কারণও চিনি।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি চিনি খেলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, এমনটা নয়। কোন ধরনের চিনি খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, প্রচুর পরিমাণে চিনিযুক্ত খাবার খেলে হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের শর্করা পাতে যত বেশি রাখবেন, ততই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়বে।
অন্যান্য রোগের ঝুঁকি তো থাকছেই। তবে ওজন ধরে রাখতে চিনি খাওয়া কমানো ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। চিনি না খেলে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে চিনি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কাজে গতি আনতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ভাল। চিনি কাজের গতি কমিয়ে দেয়। কর্মক্ষমতা বাড়ে চিনি না খেলে। প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে চিনি না খাওয়ার অভ্যাস। এত ক্ষতিকর দিক থাকা সত্ত্বেও চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
সুস্থ থাকতে ঠিক কতটা চিনি খাওয়া জরুরি?
সারা দিনে ৫ গ্রাম পর্যন্ত চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন মানেই ওজন বাড়বে না কিংবা ডায়াবিটিস হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সরাসরি চিনি না খেয়ে তেমন কিছু খাবার খেলেও মুশকিলে পড়তে হতে পারে।