দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্ধর্ষ গরম পড়েছে বাংলায়। তাই এই সময় গর্ভবতী নারীদের একটু-আধটু সাবধানে তো থাকতেই হবে। বিশেষত, নজর ফেরাতে হবে ডায়েটে। নইলে যে বিপদের শেষ থাকবে না। তবে ভালো খবর হল, এই সময় গরমের কয়েকটি খাবারকে রোজের পাতে জায়গা করে দিলে কিন্তু আগামী ২-৩ মাস অনায়াসে হেসে-খেলে জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
ভাবছেন নিশ্চয়ই, গরমের দিনে ঠিক কোন কোন খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় সুস্থ-সবল জীবন কাটানো সম্ভব হবে? আর সেই উত্তর জানতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব এই নিবন্ধটি পড়ে নিন। তারপর এইসব খাবারকে ঝটপট ডায়েটে করে দিন জায়গা। আশা করছি, এই কাজটা সেরে ফেললেই আপনার হেসে-খেলে জীবন কাটানোর পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।
তরমুজের জুড়ি মেলা ভার
গরম পড়তেই বাজারে ভিড় করেছে তরমুজ। আর এই ফল খেতেও যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনই এর পুষ্টিগুণও কিন্তু অন্যন্য!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। এমনকী এতে মজুত রয়েছে উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর সবথেকে বড় কথা, তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই হল জল। তাই এই গরমে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে গর্ভবতী মায়ের ডায়েটে তরমুজ রাখতেই হবে।
টমেটোর বিকল্প নেই
গরমের সেরা সবজিগুলির মধ্যে একটি হল টমেটো। আসলে এই সবজিতে কয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার যা কিনা গর্ভাবস্থায় ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এতে মজুত লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু ক্যানসার সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাই গর্ভবতীদের ডায়েটে এই সবজি থাকা মাস্ট।
মহৌষধি আম
গ্রীষ্মের দিনে সুস্বাদু আম খাবেন না, তা আবার হয় নাকি! তবে শুধু স্বাদ নয়, এই ফলের গুণও কিন্তু সেরার সেরা। এই প্রসঙ্গে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। আর এই দুই ভিটামিন কিন্তু ভাবী মায়ের পাশাপাশি তার সন্তানের শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এমনকী এতে মজুত ফাইবারের গুণে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার থেকেও মুক্তি মিলবে বৈকি! তাই গ্রীষ্মের শুরু থেকেই এই ফলকে খাদ্যতালিকায় জায়গা করে দিতে হবে।
পাতে থাকুক সবুজ শাক
গরমের যে কোনও সবুজ শাকেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু ভাবী মায়ের শরীরকে একাধিক রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখে। শুধু তাই নয়, এইসব শাকে মজুত ভিটামিন কে গর্ভের সন্তানের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী এইসব শাক নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও থাকবে দূরে। তাই গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে গরমে নিয়মিত শাক খেয়েই রসনাতৃপ্তি করুন।
রোজ খান দই
গরমে পেটের হাল খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই এই সময় পেট বাবাজীর খেয়াল রাখতে চাইলে রোজের পাতে দইকে জায়গা করে দিতেই হবে। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার যা কিনা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনে একাই একশো। তাই এই গরমে গর্ভবতী মায়েদের ডায়েটে টক দই থাকা মাস্ট। এই নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু আপনারা গ্রীষ্মের দিনগুলি হেসেখেলে কাটাতে পারবেন।