দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দোল উত্সবের সঙ্গে পলাশ ফুলের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দোলের সময় বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা রাঙা পলাশ ফুলে ছেয়ে থাকে। দোল খেলার সময় অনেক মেয়েই খোঁপায় পলাশ ফুল গুঁজে সেজে ওঠেন। এছাড়া আগুন রঙা পলাশ ফুল হল বসন্তের প্রতীক। আর দোলের আর এক নাম হল বসন্ত উত্সব। তাই দোলের সঙ্গে পলাশ ফুল যেন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে।
হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন গাছের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। সেই কারণে সনাতন ধর্মে গাছপালার পুজোর করার প্রথা প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত আছে। জ্যোতিষ অনুসারে এমন কোনও কোনও গাছ আছে, যেগুলি আমাদের জীবনে ম্যাজিক করতে পারে। সেরকমই একটি দারণ শুভ ফুল হল পলাশ ফুল। এই ফুল সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে তা আমাদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
দোলের দিনে পলাশ ফুলের উপায়
পলাশ ফুল দেখতে যেমন সুন্দর। তেমনই এই ফুল নানা ভাবে উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুসারে পলাশ ফুলের মধ্যে নানা ওষোধি গুণাবলী রয়েছে। দু-রকমে পলাশ ফুল সাধারণত দেখা যায়, সাদা ও লাল। সাদা পলাশ ফুল হল শিব শংকরের প্রতীক এবং লাল পলাশ ফুল মা লক্ষ্মীর বড় প্রিয়। পলাশ ফুলের টোটকা করে কোষ্ঠীতে নবগ্রহের দোষ থাকলে তাও দূর করা সম্ভব। এমনকি পলাশ ফুল ব্যবহার করা শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার অশুভ প্রভাবও খর্ব করা যায়।
দোলের দিন পলাশ ফুল দিয়ে স্নান
দোলের দিন রং খেলা হয়ে গেলে যখন স্নান করবেন, তখন স্নানের জলে একটা পলাশ ফুল মিশিয়ে নিন। এই জল দিয়ে স্নান করলে সংসার সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দ বজায় থাকে। এছাড়া দোলের দিন পলাশ ফুল নিবেদন করে মা লক্ষ্মীর পুজো করুন। এর ফলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আপনার সংসারে বজায় থাকবে।
পলাশ ফুলের ওষধি গুণাবলী
পলাশ ফুলের ওষদি গুণাগুণও অসীম। পেটের ব্যাথার সমস্যায় পলাশ ফুল বেটে খাওয়া অত্যন্ত লাভজনক। ত্বকের সমস্যাতেও পলাশ ফুলের পেস্ট বানিয়ে তা ত্বকে লাগালে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
পলাশ ফুল তোলার নিয়ম
পলাশ ফুল উপকারী বলেই তা যে কোনও দিনে গাছ থেকে তুলবেন না। বিশেষ করে ভুলেও শুক্রবার পলাশ ফুল পাড়বেন না। শুক্রবার মা লক্ষ্মীর পুজোয় পলাশ ফুল নিবেদন করতে হলে আগের দিন বৃহস্পতিবার তা তুলে রাখুন। হোলির দিন মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি শ্রীকৃষ্ণকেও পলাশ ফুল দিয়ে পুজো করুন। এর ফলে সব রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।