দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়মিত ধূমপান করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। এমনকী মাত্রারিক্ত হেয়ার ফলও হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকেরা। তাই আপনি যদি নিয়মিত ধূমপান করে থাকেন, তাহলে যে হেয়ার ফল বাড়বেই, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হন এবং সঠিক উপায়ে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ে
ধূমপানের কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্রিব়্যাডিকালস তৈরি হয়, যা আপনার শরীরের ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে স্ক্যাল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর কারণে চুলেরও ক্ষতি হয়। আর অতিরিক্ত মাত্রায় চুল ঝরতে শুরু করে।
রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়
তামাকে উপস্থিত ক্ষতিকারক রাসায়নিক আপনার শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি করে। ফলে নানারকম অসুখের আশঙ্কা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে স্ক্যাল্পেও স্বাভাবিক রক্ত সরবরাহে প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিটি হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় না। আর সেই কারণেই মাত্রারিক্ত হেয়ার ফল হতে শুরু করে বলে জানাচ্ছে হেলথলাইন।
গবেষণায় কী উল্লেখ পাওয়া যায়?
২০২০ সালে ২০-৩৫ বছরের পুরুষ ও মহিলাদের উপরে একটি গবেষণা চালানো হয়। তাঁদের মধ্য়ে কেউ কেউ ধূমপান করতেন, আবার অনেকেই করতেন না। এই গবেষণায় দেখা যায় যে, ধূমপানকারীদের অতিরিক্ত মাত্রায় চুল ঝরতে শুরু করে। এদিকে যাঁরা ধূমপান করতেন না, তাঁদের হেয়ার ফলের মাত্রাও কম ছিল।
ধূমপান ছেড়ে দিলেই কি নতুন চুল গজাবে?
সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেই যে আবার নতুন করে চুল গজাতে শুরু করবে, এমন কোনও অর্থ নেই।
আপনি হয়তো ১৫ বছর টানা ধূমপান করেছেন, তারপর হঠাৎ একদিন এই খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করলেই যে পরের দিনই মিরাকেল হবে, এমন আশা না রাখাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরে চুলের হাল ফেরাতে চিকিৎসা করাতে পারেন। তাহলেই উপকার মিলবে।
তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন হলেও হতে পারে। অর্থাৎ ধূমপান ছেড়ে দিলেই মাত্রারিক্ত হেয়ার ফলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এই সম্বন্ধিত সাধারণ প্রশ্নের উত্তর(FAQs)
১) সিগারেট খেলে কি ত্বকেরও ক্ষতি হয়?
ধূমপানের কারণে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
২) ধূমপান ছাড়বেন কী ভাবে?
এক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের সাহায্য নিন, তিনি আপনাকে সাহায্য করবে।
৩) চুলের বৃদ্ধির জন্যে কী করবেন?
ধূমপান ত্যাগ করুন। হেয়ার হাইজিন মেনে চলুন। সঠিক উপায়ে যত্ন নিন।