দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহস্থের ঘরে তুলসী গাছ ভীষণ পরিচিত এবং নিত্য প্রয়োজনীয়। অনেকেই তুলসী গাছকে পবিত্রতার চোখে দেখেন। তুলসী গাছকে ঘিরে নানান পূজা অর্চনা দেখা যায়। নানান রোগ প্রতিকারে তুলসী পাতা মোক্ষম ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে শীতের মরশুমে তুলসী পাতা বেশ কার্যকরী। যারা ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগেন, প্রায়ই কাশি হয়, কোল্ড এলার্জির প্রবণতা আছে তাঁদের জন্য তুলসী পাতার গুণ অপরিহার্য। এদেশে পূজা অর্চনায় তুলসী পাতার ব্যবহার আব্যশক। প্রায় সব বাড়িতেই তুলসী গাছের অবস্থান লক্ষ্যনীয়। কিন্তু শীতের শুষ্ক আবহাওয়া তুলসী গাছে আনে রুক্ষতা। পাতা-কাণ্ড দ্রুত শুকিয়ে যায় । তরতাজা রাখবেন কীভাবে? জেনে নিনঃ
১) তুলসী গাছের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ঠান্ডা এবং শুষ্ক হাওয়া। এই হাওয়া থেকে গাছকে বাঁচানো দরকার। কীভাবে? চারপাশে শিল্ড তৈরি করে দিয়ে। গাছের চারপাশটা স্বচ্ছ প্লাস্টিক বা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। এতে সরাসরি হাওয়া লাগবে না;
২) তুলসী গাছে জল কতটা দেবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত জল যেমন ভালো নয়, তেমনই কম জলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। গাছে জল দেওয়ার আগে মাটি চেপে উপরের ২ ইঞ্চি ভেজা কি না। যদি সেখানে শুষ্কতা থাকে তবেই জল দেবেন;
৩) শীতকালে ঈষদুষ্ণ জল তুলসী গাছের জন্য খুবই ভালো। তবে এক্ষেত্রে সাবধান। জল খুবই অল্প গরম হতে হবে। আবার অনেকে বলেন, গাছের গোড়ার সামান্য একটু কাঁচা দুধ দেওয়া ভালো;
৪) তুলসী গাছের সূর্যের আলোর প্রয়োজন। বাড়ির গাছ টবে থাকলে তা এমন জায়গায় রাখবেন যেন চার থেকে ছয় ঘণ্টা সূর্যের আলো পায়। তবে অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচাতে গাছের উপরে একটি শেড করে দিতে পারেন;
৫) তুলসী গাছ পরিষ্কার রাখতে হবে। কীভাবে? হলদে হয়ে যাওয়া এবং পোকা ধরা পাতাগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পাতা ছাঁটা ভালো নয়;
৬) সময়ে সময়ে মাটি পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তুলসী গাছ টবে থাকুক বা বেদীর ভিতরে মাটির উর্বরতা একসময় কমে যায়। তাই সময় থাকতে গাছের গোড়ার মাটি বদলে দেওয়া দরকার।