দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকে অভ্যাস করে নেন মৌরি ভিজিয়ে রাখা জল পান করার। বিশেষ করে পেটের গরম বা বদহজমের সমস্যা হলে ছোটদেরও দেওয়া হয় মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই অভ্যাসকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলেই মানছেন পুষ্টিবিদরা।
ভিটামিন সি, আয়রনে পূর্ণ মৌরির পুষ্টিগুণ নেহাত কম নয়। সকালে উঠে মৌরি ভেজানো জল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিন্তু বদলে যদি মৌরি-চায়ে চুমুক দেওয়া হয়, বাড়তি কোনও লাভ হবে কী?
মৌরি-চায়ের উপকারিতা
· নামে চা হলেও এতে চা পাতা থাকে না। বরং জলে মৌরি ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খাওয়া হয়। মৌরি-চা খেতে হয় ঈষদুষ্ণ অবস্থায়।পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে উঠে হালকা গরম জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। মৌরি-চা ঠিক সেই কাজটি করে। শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের ফলে শরীরে যে দূষিত পদার্থ তৈরি হয়, তা বার করে দিতে সাহায্য করে এই চা। এতে কিডনির কার্যকারিতা ভাল থাকে। ওজন কমানোর পক্ষেও তা সহায়ক।
· মৌরিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। বিপাকহার বৃদ্ধিতে, জলের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে মৌরি-চা। মূলত ফ্যাট বিপাকে সহায়তা করে এটি।
· বদহজম, পেটফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও সকালে চুমুক দিতে পারেন মৌরি-চায়ে। ঈষদুষ্ণ চা গ্যাসের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। বমিভাবও এতে দূর হয়। বিশেষত যাঁদের চা খেলে অম্বল হয়, তাঁরা মৌরি-চায়ে চুমুক দিতে পারেন। দরকার হলে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন এতে।
· মৌরি-চায়ে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দৈনন্দিন কাজকর্মের ফলে শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি হয়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের মোকাবিলা করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে শরীর ভাল থাকে। ত্বক উজ্জ্বল হয়।
· সর্দি-কাশি বা গলাব্যথা হলে ঠান্ডা জল খেতে সমস্যা হয়। গরম কিছু খেতে ইচ্ছা হয়। সেই সময় মৌরির চা খেলেই শরীরে আরাম মিলবে বেশি।
মৌরির জল এবং চায়ের উপকারিতায় বিশেষ হেরফের নেই। তবে বদহজম, গ্যাস হলে চা বেশি উপকারী। আবার শীতের দিনে জল খেতে ইচ্ছা করে না। তখনও মৌরি-চায়ে চুমুক দেওয়া যেতে পারে।