কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে নানা ক্ষতি হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরদিন সকালে কাজেও বিরক্তি লাগে। তবে কিভাবে বদলানো যায় এই অনিয়মকে? আসুন জেনে নিন।
১) রোজ ৬ টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১০ টায় ঘুমিয়ে পড়তে পারলে ভালো। তবে একদিনে এই অভ্যাস বদল কি সম্ভব? তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে অভ্যেস পালটানো ভালো। রাতে মোবাইল ঘাটার সময়টা কমিয়ে আনতে পারলেই দেখবেন অনেক লাভ হয়েছে।
২) কোন সময় ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কোন সময়ে ঘুম থেকে উঠবেন এর চেয়েও বড় বিষয় হল রোজ একই সময় ঘুমনো ও ঘুম থেকে ওঠা। না হলে শারীরিক সমস্যা হবেই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই খাওয়া দাওয়া সেরে নিন। খাওয়াদাওয়ার পর ঘণ্টাখানেক মোবাইল, টিভির জন্য বরাদ্দ রাখতে পারেন। তারপর একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তারপর শুতে যান, শুয়ে ঘুম না এলে বই বা গানে মনোনিবেশ করতে পারেন। তবে একদমই ফোন ঘাঁটবেন না এই সময়।
৩) ঘুমনোর অন্তত দু ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিতে পারেন। যাতে হজম যথার্থ নিয়ম মেনে হয়। রাতে যত কম তেল মশলাযুক্ত খাবার খাবেন, তত ভালো। ঘুমের আগে ক্যামোমাইল টি বা গ্রিন টি খেলে ঘুম আসতে সুবিধা হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও সমস্যা হবে না।
৪) কোনো বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যাবহার করা যাবে না ঘুমের এক ঘণ্টা আগে। এতে ঘুম আসতে দেরি হবে। বরং ফোনে পরের দিনের অ্যালার্ম সেট করে বিছানা থেকে খানিকটা দুরে রেখে দিন। দূরে রেখে দিন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে পর দিন উঠে অনেকটা যেতে হয়। এতে ঘুমও ভেঙে যাবে সহজে।
৫) ঘুম থেকে উঠে জানালায় বা বারান্দায় সূর্যের আলোতে খানিকটা সময় কাটান। এতে বেশ তরতাজা লাগে। ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মেডিটেশনেও বসতে পারেন। সকালের মিঠে রোদ ও মেডিটেশনের অভ্যাস হয়ে গেলেই সকালে ওঠার ইচ্ছা জন্মাবে।