পুষ্টিগুণের রাজা মাছ
এই প্রাণিজ খাবারে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত মাছ খেলে যে দেহে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, এই প্রাণিজ খাবার হল ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, আয়রন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি উপাদানের খনি। তাই নীরোগ জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই এই খাবারের শরণাপন্ন হন।
কম যায় না ডিম
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, স্বল্প মূল্যে ডিমের মতো অপর একটি উপকারী খাবার খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব কাজ। কারণ এই খাবার হল ফার্স্টক্লাস প্রোটিনের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে ডিমে ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং বায়োটিনের মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের খোঁজ মেলে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে রোজ ডিম খেতেই পারেন। তাতেই স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বদলে যাবে।
দুপুরে ডিম না মাছ, কোনটা খাওয়া উচিত?
মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, এই দুই খাবারেরই অনন্য পুষ্টিগুণ রয়েছে। এমনকী ডিম এবং মাছ, দুটোই সহজে হজম করা যায়। তাই দুপুর কেন, দিনের যে কোনও সময়ই এই দুই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই আপনারা অনায়াসে সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে পারবেন।
তবে অফিসের ক্যান্টিনে বসে কাঁটা বেছে মাছ খেতে অনেকটা সময় চলে যেতে পারে। তাই আপনারা চাইলে সকালে বা রাতে মাছ খেয়ে দুপুরে ডিম খেতে পারেন। তবে কারও সময়ের অভাব না থাকলে দুপুরের পাতে মাছ রাখতেই পারেন। তাতে উপকারই পাবেন।
পরিমাণ মতো খেলেই উপকার পাবেন
একজন সুস্থ-সবল, পরিশ্রমী মানুষ দিনে ২ গোটা ডিম খেতেই পারেন। তবে বয়স ৪০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেলে বা ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, প্রেশারের মতো অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো দিনে একটার বেশি গোটা ডিম খাবেন না। নইলে বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি!
এদিকে গোটা দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের মতো মাছ অনায়াসে খাওয়া যায়। আর কোনও ক্রনিক রোগেই মাছ খাওয়ায় বাধা নেই। তাই ৮ থেকে ৮০ সকলের পাতেই মাছ থাকা চাই-ই চাই।
ডিমে অ্যালার্জি থাকলে সমঝে যান
অনেকেরই ডিমের প্রোটিনে অ্যালার্জি থাকে। তাই তাঁরা ডিম খাওয়ার পরই বমি, ডায়ারিয়া, পেটে ব্যথা, চুলকানি, ব়্যাশের মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ে খুবই কষ্ট পান। তাই এমন সমস্যায় ভুক্তভোগীরা কোনওমতেই ডিম খাবেন না। তার বদলে আপনারা নিশ্চিন্তে মাছ খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই আপনাদের সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।