কলকাতা, ২৭ মার্চ : “যদি কেউ বা কারা কোনো প্রশ্ন করে, আর জি কর বা কোনো বিষয়ে, সাধারণ কৌতূহলে বা প্রভাবিত কুৎসায় পরিকল্পিতভাবে; মুখ্যমন্ত্রী সব জবাব দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। যদি কেউ প্রশ্ন করে, যথাযথ জবাব পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে,' বল দিলেই ছক্কা মারব, আমি রেডি।'’ বৃহস্পতিবার এক্সবার্তায় লন্ডন থেকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এদিন কুণাল লিখেছেন, “আজ কিছুক্ষণ পর অক্সফোর্ড রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁদের তরফে আন্তরিক অভ্যর্থনার আয়োজন হয়েছে। এরপর এখানকার বিকেল পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ভাষণ। এর দুটি দিক আছে।
১) বাংলার উন্নয়নকে ঘিরে বিকল্প নীতি, কার্যত বিকল্প মতবাদ, ফিলজফির মডেল পেশ বিশ্বদরবারে। পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিক সাহায্য, বিভিন্ন স্কিম, নারীশক্তির জয়গান, শ্রমিক কৃষকদের সুরক্ষাকবচ দিয়ে সামাজিক ভারসাম্যরক্ষার মাধ্যমে উন্নয়নের মঞ্চ প্রস্তুত এবং নির্দিষ্ট নীতিতে লগ্নি, কর্মসংস্থানবৃদ্ধি। সব ধর্মের সসম্মান সহাবস্থানজনিত সংহতি। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশকেও সুবিধা দিয়ে এগিয়ে আনা, যাতে বৈষম্য কমে, সাম্য বাড়ে। ধনী ছাত্রর হাতে ল্যাপটপ/স্মার্টফোন থাকলে, গরিব ছাত্রও সেটা পাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাস, আয়বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানবৃদ্ধির নতুন বিকল্প নীতি; যাতে করোনার মত বিপদের পরেও সবাই সুরক্ষিত থাকে। কার্যত একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।” দ্বিতীয় বিষয়টি আর জি কর হাসপাতাল নিয়ে।
কুণাল লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ড সফর নিয়ে এখানে ব্যাপক সাড়া। হাউস ফুল। অনলাইনের চাহিদা। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘুরিয়ে দেখানো হবে। তারপর অধ্যাপক/কর্তৃপক্ষ মিট করবেন, চা খাওয়াবেন। তারপর বক্তৃতা। বক্তৃতা শুরু ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটায়।”