কলকাতা, ২৩ নভেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বাংলার নয়া রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের শপথগ্রহণ পর্বে উপস্থিত থাকতে না পারার বিষয়টি টুইটারে আগেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। তবে রাজ্যপালকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, বিজেপি-ত্যাগী বিধায়কদের পাশে তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে। কেন এমনটা করা হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলে এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করেন তিনি।
রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশেই বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। প্রসঙ্গত, এই দুই বিধায়ক একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও বাস্তবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতাই বেশি বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের মামলা এনেছে বিজেপি শিবির। এমন অবস্থায় ওই দুই বিধায়কের পাশে শুভেন্দু অধিকারীর বসার ব্যবস্থা করায় বেজায় বিরক্ত বিরোধী দলনেতা। উল্লেখ্য, রাজভবনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এই বসার ব্যবস্থাপনা করেছে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। এমন অবস্থায় শুভেন্দুর অভিযোগ, এমন আসন ব্যবস্থা শিষ্টাচার বিরোধী। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। সেদিন রাজ্য মহিলা মোর্চার ডাকে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য রাখতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তৃণমূল সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, চিন্তা করবেন না। একেকটা দিন কাউন্ট হচ্ছে। এদের যেতেই হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটা লুম্পেন কোম্পানি, এটা কোনও রাজনৈতিক দল নয়।‘ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, শুধু ভাতিজা নয় বুয়াকেও যেতে হবে।’ তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।