কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর : কংগ্রেস ভাল ফল করতেই তাদের সাফল্যকে ‘খাটো’ করে দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু ঘাসফুল শিবিরে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, গুজরাটে কংগ্রেস পারেনি তাই বিজেপি স্যুইপ করেছে। তাঁর সাফ কথা, ‘গুজরাটে বিজেপি জেতেনি, গুজরাটে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে।’
গুজরাটে বিজেপির একতরফা জয় হলেও, মোদী-ভূমে বেশ কয়েকটি আসন নিজেদের ঝুলিতে রেখেছে কংগ্রেস। খাতা খুলতে পেরেছে আম আদমি পার্টিও। আর হিমাচল প্রদেশে বিজেপিকে কার্যত পর্যুদস্ত করে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় ভোটের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় বিপাকে কুণাল । হিমাচলে কংগ্রেসের জয়কেও ঈষৎ কটাক্ষের সুরেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বললেন, হিমাচলে মানুষ যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখিয়ে ছিল, তাতে কংগ্রেসের আরও ভাল ফল করা উচিত ছিল।
এদিকে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দিল্লির পুরনিগম ভোটের পর আম আদমি পার্টিকে শুভেচ্ছা জানায়নি তৃণমূল। আবার এক ধাপ এগিয়ে আজ কুণাল ঘোষ বলেই ফেললেন, জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নে মমতা বাকিদের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে। নাম না করে খোঁচা দিলেন রাহুলকেও। বললেন, ‘কথা না বলে হঠাৎ পদযাত্রার ডাক দিলে জোট হয় না।’ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্ব নিয়ে নিজেদের রক্ষণশীল অবস্থানেই অটুট থাকল তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বরাবরই বেশ নাতিশীতোষ্ণ।
যদি আম আদমি পার্টি কিম্বা কংগ্রেসকে তাদের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা জানাত তৃণমূল? তাহলে চিত্রটা কেমন হত? বলাই বাহুল্য, বিজেপি বিরোধী জোটের সমীকরণ নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যেত দেশ জুড়ে । অথচ, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের এক সুতোয় বাঁধার প্রক্রিয়া নিয়েও চাপানউতোর অব্যাহত থেকে যাচ্ছে। আর এই চাপানউতোরের সুফল বকলমে পেয়ে যেতে পারে বিজেপি শিবির। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।