কলকাতা, ১ মে : “দিলীপ বাবাজীবনের সুখী সমৃদ্ধ বিবাহিত জীবন কামনা করি। টাকার তো অভাব নেই! কেবল আমরা যেন একই ভুল আর না করি।” বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। তথাগতবাবু এক্সবার্তায় লিখেছেন, “পি এইচ-ডি হবার দরকার নেই, কিন্তু ন্যূনতম শিক্ষাদীক্ষাটুকু প্রয়োজন। তা ছিল না বলেই দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির মত উচ্চপদে বসানো মারাত্মক ভুল হয়েছিল। মাথা ঘুরে গিয়েছিল, ধরাকে সরা ভাবতে শুরু করেছিল। এদিকে হীনমন্যতাও ছিল, তাই নির্বাচনী এফিডেভিটে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে মিথ্যাকথা লিখেছিল, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা দেশকে ‘পেচ্ছাব-পাইখানা’ (হ্যাঁ, এই ভাষাতে) ছাড়া কিছু দেয় নি। ২০১৯ সালে সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য দেখে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল, ভুলে গেল সেই বছরই তিনটে উপনির্বাচনে বিজেপি শূন্য পেল। এই সময় কামিনীকাঞ্চন-আসক্ত এক শিম্পাঞ্জির মত দেখতে বিজেপি নেতার কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ায় দিলীপের সুবিধা হল।”
একটি পত্রিকার নামোল্লেখ করে তথাগতবাবু লিখেছেন, “ওতে দিলীপ নিজেকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিল, দপ্তর বন্টনও করে দিল। তারপর হেরে যাবার পরে যখন বিজেপি কর্মীরা বেধড়ক মার খেতে লাগল তখন নিজে দশ জন রক্ষীবেষ্টিত হয়ে তাদের জ্ঞান দিত। বিদায় হয়েছে, ভাল হয়েছে। আমি বৃদ্ধ, অবসরভোগী, দিলীপ বাবাজীবনের সুখী সমৃদ্ধ বিবাহিত জীবন কামনা করি।”
পি এইচ-ডি হবার দরকার নেই, কিন্তু ন্যূনতম শিক্ষাদীক্ষাটুকু প্রয়োজন। তা ছিল না বলেই দিলীপ ঘোs কে রাজ্য সভাপতির মত উচ্চপদে বসানো মারাত্মক ভুল হয়েছিল। মাথা ঘুরে গিয়েছিল, ধরাকে সরা ভাবতে শুরু করেছিল। এদিকে হীনমন্যতাও ছিল, তাই নির্বাচনী এফিডেভিটে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে…
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 1, 2025