কলকাতা, ২৪ মার্চ : সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ বৈধতার ব্যাপারে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
অভিযোগ,সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার একটি চিঠি টুইট করে এমনটাই দাবি করে তৃণমূল। সেই চিঠি নিয়েই প্রশ্ন তোলে বামেরা। মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তীও। কটাক্ষ করেন শাসকদলকে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষের পর পূর্বতন বাম সরকারকে একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাদের দিকে আঙুল তুলে জানান, সুজনের স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল পর্যন্ত কেউ জানত না।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট থেকে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপার পদে চাকরিতে যোগ দেন সুজনবাবুর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। সেই মর্মে কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা তাঁর চিঠিটি নথি হিসেবে তুলে ধরেছে তৃণমূল, টুইট করে। অভিযোগ, পরীক্ষাও দেননি তিনি, কোথাও কোনও নামও ছিল না। স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই চাকরি হয়েছিল তাঁর। মোটা অঙ্কের বেতনও পেতেন। বর্তমানে পেনশন পান।
এই বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কোনও সমস্যা তো দেখতে পাচ্ছি না। এটা আমার স্ত্রীর জয়েনিং লেটার। টুইটে পেনশনের উল্লেখ আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পেনশন তো পাওয়ারই কথা। তৃণমূল যদি সমস্যাটা তুলে ধরে তাহলে বুঝতে সুবিধা হয় যে কোথায় অসংগতি রয়েছে।”