দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, টানা চতুর্থবারের জন্য প্রদানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও ৩৬জন মন্ত্রী। এর মধ্যে ২৫ জন শপথ নিয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে, বাকি ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশে মন্ত্রী হলে কিন্তু অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। বেতন এবং বিভিন্ন ভাতার পাশাপাশি, বিনামূল্যে ভ্রমণ, বিনামূল্যে পরিচারকের মতো অনেক সুবিধা রয়েছে। আসুন বাংলাদেশে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক, বাংলাদেশে মন্ত্রীরা কত করে বেতন-ভাতা পান? এর বাইরে তাঁরা কী কী সুযোগ সুবিধা পান?
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে, প্রধানমন্ত্রী ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা সংশোধনী আইন, ২০১৬-য় সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন ও ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাসে মাসে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা করে বেতন পান। এছাড়া, তিনি মাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা পান আরও ১ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে অন্যান্য খরচের জন্য দৈনিক ভাতা দেওয়া হয় আরও তিন হাজার টাকা। সকল বেতন ও ভাতাই করবিহীন।
২০১৬ সালেই আরও এক সংশোধনী আইনে, পূর্ণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ও ভাতাও বাড়ানো হয়েছিল। এই সংশোধনী আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মন্ত্রীরা মাসিক এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা করে বেতন পান। সংসদের ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলনেতা এবং দলের চিফ হুইপরাও মন্ত্রীদের সমান বেতন পান। মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের বেতনের উপর কোনও কর দিতে হয় না।
দৈনিক ভাতা: দু হাজার টাকা
নিয়ামক ভাতা: মাসে ১০ হাজার টাকা
স্বেচ্ছাধীন তহবিল: ১০ লাখ টাকা
মোবাইল ফোন ভাতা: ৭৫ হাজার টাকা
বিনামূল্যে যাতায়াত: বিনামূল্যে সর্বক্ষণ গাড়ি পান মন্ত্রীরা। ঢাকার বাইরে গেলে অতিরিক্ত জিপ গাড়ি। মন্ত্রীরা রেলে সফর করলে তারও খরচ সরকারই দেয়। বিমানে সফরের জন্য আট লক্ষ টাকার বীমা সুবিধা দেওয়া হয়। মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণের খরচও দেয় সরকার। দেওয়া হয় দুইজন গৃহকর্মীর ভ্রমণের খরচও।
বিদেশ ভ্রমণ: মন্ত্রীরা বিদেশে গেলে তার খরচাও বাংলাদেশ সরকারই বহন করে।
বাসভবন: বিনামূল্যে সরকারি বাসভবনও পান মন্ত্রীরা। তার সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জল, টেলিফোন এবং বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় খরচও সরকার বহন করে। সরকারি বাসভবনে না থাকলে, বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮০ হাজার টাকা, সেই সঙ্গে সেই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সব ধরণের পরিষেবার খরচ দেয় সরকার।
আসবাবপত্র: সরকারি বাসভবনে সরকারি খরচে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র কিনতে পারেন মন্ত্রীরা।
নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মী: সর্বক্ষণের জন্য মন্ত্রীদের সরকারি খরচে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। এছাড়া, একজন সরকারি সচিব, সহকারি সচিব, এবং একজন বেসরকারি একান্ত সচিব পান মন্ত্রীরা। সেইসঙ্গে, একজন সাফাইকর্মী, একজন আর্দালি, দুইজন পরিচারক, একজন পাচক ও একজন পিয়ন দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।