দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প যদি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ–সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় দায়ের হওয়া মামলায় গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।গতকাল সোমবার কানেটিকাটের গ্রিনউইচে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেখানে ছোট একটি দাতা দলের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং পুনরায় প্রেসিডেন্ট হতে চাইছেন।কিন্তু যতটা না বিরক্তিকর, তার চেয়েও ক্ষতিকর বিষয় হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক আক্রমণ চালাচ্ছেনআদালতে ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারে সর্বোতভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন বাইডেন ও তাঁর নির্বাচনী শিবির
বাইডেন পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে ‘দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি’ আখ্যায়িত করা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ট্রাম্প শিবিরের একজন মুখপাত্র। ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা বাইডেন শিবিরের জন্য ‘লজ্জার’।রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। গত রোববার তিনি বলেছেন, যদি তাঁকে গৃহবন্দী করা হয় বা কারাগারে পাঠানো হয় তবে তা মেনে নেবেন। কিন্তু সেই রায় জনগণের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হবে।শুধু ট্রাম্পই ফৌজদারি মামলায় আইনি লড়াই করছেন, তা নয়; বরং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখাসংক্রান্ত একটি মামলায় বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিচার শুরু হয়েছে। যা এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প।বাইডেন তাঁর প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে ‘দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও নিজের ছেলের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।গত সপ্তাহে রয়টার্স/ইপসোস পোলের এক জরিপে দেখা গেছে, ১০ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার বলেছেন, যদি ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাঁরা হয়তো নভেম্বরে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না।