কলকাতা, ৬ আগস্ট : সোমবার সারা রাত বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন আজীবন বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা বিশিষ্ট নাগরিক মণীন্দ্র কুমার নাথ। একটি ব্যাঙ্কের বড়কর্তা ছিলেন। কয়েক যুগ ধরে হিন্দুদের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ও সরব। বর্তমানে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, “সমানে ফোন আসছে। কেবল আর্তনাদ আর কান্না। বাঁচার, বাঁচানোর আকুতি। আমরা অসহায়!“
গত ক’দিন ধরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই অবস্থায় পরিষদের তরফে ছ’জনের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মণীন্দ্রবাবু সেটির সদস্যসচিব। তাঁর কথায়, “বেশি খারাপ অবস্থা গ্রামগুলোতে। মারধর, লুঠপাট, ‘মালাউনের বাচ্চা’ বলে গালি— এ সব অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। কোথায় যাব? কাকে বলব? এ রকম চলতে থাকলে ‘বঙ্গভবন’-এর সামনে আমরণ অনশন ছাড়া আমাদের সামনে কোনও পথ নেই”।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের ২৯টি অঞ্চলে ৪৫টি সংখ্যালঘু-নির্যাতনের নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করেছে পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু আন্দোলনের মুখ অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। জায়গাগুলের মধ্যে আছে শেরপুর, খুলনা (৪), ফেনী, দিনাজপুর, নরসিংদি, লক্ষীপুর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, যশোর (৫), সাতক্ষীরা, হবিগঞ্জ, নড়াইল, বগুড়া, পটুয়াখালি, পঞ্চগড়, নোয়াখালি, ঠাকুরগাঁও (২), ঝিনাইদহ, পাবনা, নীলফামারি, টাঙাইল, ঝালকাটি, শরীয়তপুর, লালমনিরহাট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।