দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যে গয়নার দাম মাত্র ৩০০ টাকা। তাই, এক মার্কিন মহিলাকে ৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিল রাজস্থানের এক গয়না ব্যবসায়ী।কিন্তু শখের টানে ঠকে বসলেন তিনি। কারুকাজ দেখার পর আসল-নকল বিচার না করে গয়না কিনে ফেলেন তরুণী। পরে প্রদর্শনীতে সেই গয়না দেখানোর পর তিনি জানতে পারেন যে, গয়নাটি নকল। রাজস্থানের এক গয়নার দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে নকল গয়না চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্তের নাম গৌরব সোনি।
২ বছর আগে ভারতে এসে রাজস্থানের এক ব্যবসায়ীর থেকে গয়না কিনেছিলেন চেরিস। ওই ব্যবসায়ী তাঁকে হলমার্ক সার্টিফিকেটও দিয়েছিল। মোট ৬ কোটি টাকার গয়না মার্কিন মুকুলে নিয়ে গেছিলেন চেরিস। এতদিন ধরে সব ঠিক ছিল। চেরিসকে মাথায় হাত তখন দিতে হল যখন তিনি এই গয়নাগুলি নিয়ে একটি এক্সিবিশন করলেন। জানা গেল, একটিও গয়না আসল নয়, বরং এর মার্কেট ভ্যালু মেরেকেটে ৩০০ টাকা হবে!
দিশেহারা অবস্থা তখন চেরিসের। কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তবে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দেশের মাটিতে পা দিয়েই সোজা চলে যান জয়পুরের ওই সোনার দোকানে। যদিও দোকানের মালিক গৌরব সোনি কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি। এরপর চেরিস স্থানীয় পুলিশে অভিযোগ জানান, একই সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গেও যোগোযোগ করেন।
রাজস্থানের পুলিশ জানাচ্ছে, যে দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটি বাবা আর ছেলে মিলে চালান। অভিযোগ পেয়ে দোকানে গেলে অবশ্য তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী বাড়িতেও নেই তারা। পুলিশের অনুমান দুজনেই পালিয়ে গেছে।
পুলিশ এও জানতে পেরেছে, গয়নার মধ্যে যে পাথর ছিল তা আসলে হিরে নয়, মুনস্টোন। সোনার গয়নাও জাল। চমকের ব্যাপার, ওই ব্যবসায়ীরা এই মার্কিন মহিলার বিরুদ্ধেই গয়না লুঠের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে। মূল অভিযুক্তরা কেউ ধরা না পড়লেও যে ব্যক্তি হলমার্ক সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিলেন তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মার্কিন মহিলার দাবি, তিনি একা নন, এইভাবে আরও একাধিক বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে ওই ব্যবসায়ীরা।