দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেফতার হলেন রিজেন্ট কলোনিতে জন্মদিনের পার্টির আড়ালে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের মূল অভিযুক্ত চন্দন মালিক। নির্যাতিতা তরুণীর পূর্বপরিচিত এই চন্দন মালিকের পাশাপাশি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মী দেবাংশু বিশ্বাসের খোঁজে চলছে তল্লাশি। অভিযোগকারিণী গতকাল আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এই নির্মম ঘটনা ঘটেছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর, যেখানে জন্মদিনের পার্টির আড়ালে তরুণীকে ডেকে ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে ২ অভিযুক্ত গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ঘটেছিল ঘটনা। অবশেষে পাঁচদিনের মাথায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। গত ৬ সেপ্টেম্বর হরিদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। সেখানে তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে ৫ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট পার্ক থানার অন্তর্গত রিজেন্ট কলোনিতে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয় জন্মদিনের পার্টি রয়েছে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পূর্ব পরিচত চন্দন মালিক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গিয়েছিলেন তরুণী। রিজেন্ট কলোনির একটি ফ্ল্যাটে, যেখানে চন্দনের বন্ধু দেবাংশু বিশ্বাস ওরফে দীপের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে জন্মদিনের কোনও পার্টি আদৌ হচ্ছে না।
তরুণীর অভিযোগ, দেবাংশুর ফ্ল্যাটেই তাঁর সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। জোর করে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তরুণী। হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই চন্দন এবং দেবাংশু পলাতক ছিল। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল রাতে বর্ধমান স্টেশন থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে হরিদেবপুর থানা সূত্রে। আরেক অভিযুক্তর খোঁজে এখনও জারি রয়েছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাংশু বিশ্বাস ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মী। অন্যদিকে অভিযোগকারিণী আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। দেবাংশুর খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান।
আর জি কর, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ন্যাক্কারজনক ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের শহরের বুকে চরম হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক তরুণী, এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরিচিত ব্যক্তিরা জন্মদিনের পার্টির নাম করে তরুণীকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে ফাঁকা ফ্ল্যাটে জোরপূর্বক আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই, এই ঘটনায় শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। হরিদেবপুরের ঘটনার পাঁচ দিন পরে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও, অপরজন এখনও পলাতক।