West Bengal

3 hours ago

Mamata Banerjee:“চিন্তার কিছু নেই” অশান্ত নেপাল প্রসঙ্গে বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করলেন মমতা

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী নেপালে এখনও অশান্তির আগুন জ্বলছে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত ২২ জন, একাধিক জায়গা থেকে আসছে নতুন অশান্তির খবর। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি ঘিরে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের সভা থেকে তিনি রাজ্যবাসীকে অভয় দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশে সমস্যা হচ্ছে। আমি কাল সারা রাত উত্তরকন্যায় ছিলাম। কারণ আমি চাই, কোনওভাবে আমাদের দিকে যদি সমস্যা আসে, আপনারা যেন নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। আমাদের প্রশাসন সবটা খেয়াল রাখবে।”

নেপাল যখন জ্বলছে, ঠিক সেই সময়ে মঙ্গলবার তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার জলপাইগুড়িতে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা বিলি-সহ একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। আর সেই সভা থেকেই একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন প্রশাসনিক প্রধান। তবে বক্তব্যের শুরুতেই নেপালের প্রসঙ্গ উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। মানুষকে অভয়বার্তা দিয়ে তিনি জানান, ”আমাদের প্রতিবেশী দেশে সমস্যা হচ্ছে। আমি কাল সারা রাত উত্তরকন্যায় ছিলাম।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”কোনওভাবে আমাদের দিকে কোনও সমস্যা হলে সেটা যাতে, আপনারা নিশ্চিন্তে ঘমোতে পারেন। আমাদের প্রশাসন দেখে নিতে পারে।”

অশান্ত নেপাল নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দেওয়ার আগেই প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ করেছিলেন আশঙ্কা। দিনভর তাঁর নজর ছিল হিংসা বিধ্বস্ত কাঠমান্ডু-সহ নেপালের নানা প্রান্তে। উত্তরবঙ্গে পৌঁছে কন্যাশ্রী বাংলোয় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা দিল নেটওয়ার্কের সমস্যা, ফলে ঠিকমতো খবর পাচ্ছিলেন না প্রশাসনিক প্রধান। সেই কারণেই মাঝরাতে স্থান বদল করেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী ছেড়ে চলে যান উত্তরকন্যায়। সেখান থেকেই টানা পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন তিনি, প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেন।

উত্তরবঙ্গ থেকে নেপালের সীমান্ত বেশি দূর নয়। ঘটনার পর থেকেই পানিট্যাঙ্কিতে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কবার্তা। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। চলছে কড়া নজরদারি। শুধু তাই নয়, দার্জিলিং পুলিশ সুপার গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর থেকেই শিলিগুড়ি-নেপাল সরকারি বাস পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

You might also like!