দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :মধ্যমগ্রামে মাঝরাতে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশ যোগের ইঙ্গিত ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর পঁচিশের এক যুবকের, যিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, তাঁর ব্যাগে রাখা বোমা ফেটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা, তুলনামূলক কম শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণই ঘটেছে। কিন্তু এখানেই তৈরি হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন— যুবকটি ব্যাগে বিস্ফোরক নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন? কোথা থেকে এসেছিলেন তিনি? তাঁর প্রকৃত পরিচয় কী? আর কোন উদ্দেশ্যে স্কুলের সামনে দিয়ে যাতায়াত করছিলেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল, পাশাপাশি উপস্থিত ছিল এনআইএ টিমও। এলাকায় গিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, “কে, কোন উদ্দেশ্যে কী করেছে তা তদন্তেই প্রকাশ পাবে। তবে শান্ত মধ্যমগ্রামকে আতঙ্কিত ও অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।”
এই প্রথম মধ্যমগ্রাম শহরে এমন বিস্ফোরণ ঘটল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার মাঝরাতের ঘটনার জেরে তাঁরা রীতিমত আতঙ্কিত। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তা অস্বীকার করছেন না মন্ত্রী রথীন ঘোষও। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”শহরবাসীর আতঙ্ক স্বাভাবিক। স্কুলের সামনে এত জনবহুল একটা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীরা তো ভয় পাবেই। কিন্তু আমি বলতে চাই, পুলিশ তদন্ত করছে। আমাদের পুলিশি তদন্তের উপর যথেষ্ট আস্থা আছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। এটা শান্ত মধ্যমগ্রামকে অশান্ত আর আতঙ্কিত করার একটা ছক। তাতে পা দেবেন না কেউ।”
মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনে বিস্ফোরণের পর সুরক্ষার স্বার্থে অনেকটা জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তবে সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল বসেছে। আতঙ্ককে সঙ্গী করে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা স্কুলে এসেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানাচ্ছেন, স্কুল বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে নেই। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে যা করছে, তাতে সহযোগিতার কথাও জানান শিক্ষক। তবে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকটা সর্বাগ্রে, তাও মত স্কুল কর্তৃপক্ষের।