দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট না পাওয়ায় অভিমানের সুর চরেছিল বাবুনের মুখে। এর পরই কড়া অবস্থান নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাবুনকে ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিরোধীবর্গের তরফ থেকে পরিবার তন্ত্রের খোঁচার জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বললেন “আমি পরিবারতন্ত্র যে করি না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ দিলাম।”
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার প্রাক্কালে ফেব্রুয়ারি শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চারবার বঙ্গের মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সভা করেছেন যথাক্রমে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে। সেই সব জায়গায় সভা করার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে একটিও বাক্য শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। কিন্তু শিলিগুড়ির মাটিতে পা রেখে অভিষেক সম্পর্কে 'ভাতিজা' শব্দটি প্রয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল ও অভিষেক পরিবারতন্ত্রের হয়ে কাজ করছে বলে এক অভিযোগ সামনে রেখে তিনি বলেন ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের হয়ে কাজ করছে। তৃণমূল এক ভাইপোর জন্য সব কাজ করছে আর কংগ্রেস এক শাহি পরিবারের সদস্যকে ক্ষমতায় বসাতে কাজ করে চলেছে।’’
এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নানা সভা আলচনায় পিসি, ভাইপো বলে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। এমনকি পরিবারতন্ত্র নিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল কংগ্রেস নেতাদের তরফেও। কিন্তু এই প্রেক্ষিতে সমস্ত বিরোধী কটাক্ষকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যায় বসে ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ত্যাজ্য’ ঘোষণা করলেন মমতা। সাফ জানালেন, “আমি সরাসরি বলছি বড় হলে অনেকের লোভ বেশি বেড়ে যায়। আমার পরিবারের ও কোনও সদস্য বলে মনে করি না। আজ থেকে কোনও সম্পর্ক নেই। ভাই বলে কেউ পরিচয় দেবেন না। কোনও সম্পর্ক নেই। পরিবারের সঙ্গে জড়াবেন না।” পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ কার্যত ধূলিসাৎ করে বললেন, “আমি পরিবারতন্ত্র করি না। মানুষতন্ত্র করি। আমি পরিবারতন্ত্র যে করি না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ দিলাম।” মমতার এই মন্তব্যের পরই অবশ্য সুর নরম বাবুনের। ‘দিদি’র পাশে আছেন বলেই দাবি তাঁর।