বীরভূম জেলার রাজনীতিতে এক অন্যরকম চরিত্র অনুব্রত মণ্ডল। যাকে নিয়ে আগেও হয়েছে নানান বিতর্ক, নানা কথা। বর্তমানে তিনি জেল বন্দী। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল দুজনেই এখন রয়েছেন তিহাড় জেলে। বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে একসময় প্রচুর মানুষে দেখা মিলত। এখন সেই বাড়িও কার্যতা ফাঁকা। এমনকি অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ে জেলে যাত্রার পর থেকে দলের কর্মীদের খুব একটা দেখা যায় না।
কিন্তু এইসবের মাঝেই হঠাৎ করে নির্বাচনের আগে ফের অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বীরভূম সফরে এসে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দেখবেন নির্বাচন ফুরিয়ে গেলেই অনুব্রত মণ্ডল ছাড় পেয়ে যাবে।’
অন্যদিকে, যখন মুখ্যমন্ত্রী মুখে এমন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে ঠিক সেই সময় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ছাদে উঠতে দেখা গেল হনুমানের ছবি আঁকা, নিচে লেখা জয় শ্রীরাম এমন পতাকা। একদিকে প্রশ্ন উঠছে তার বাড়িতে কেউ নেই, তাহলে এই পতাকা লাগালো কে? যদিও বাড়িতে থাকা নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশকর্মীরা বলছেন তারাই বিষয় কিছু জানেন না। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ এর দাবি, আগে থেকেই সবাই বুঝতে পারছেন যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত মণ্ডল যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আগেই বোলপুর শহরে এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে অনুব্রত মণ্ডলকে জেল থেকে বের হতে হলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সেরকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হবার কিছু নেই।
অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান জানান, অনুব্রত মণ্ডল একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ ফলে তার বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা থাকে সেটা অবাক হবার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়। ফলে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে রামের পতাকা ঝুলবে এটা অবাক হওয়ার কি আছে।