West Bengal

7 months ago

Sundarban: ফেব্রুয়ারিতেই সুন্দরবনে জলসঙ্কট! কি হবে গরম পড়লে?

Water Crisis in Sundarban during February ! What happens when it gets hot?
Water Crisis in Sundarban during February ! What happens when it gets hot?

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পানীয় জলের সঙ্কট প্রখর হচ্ছে সুন্দরবনে। কারণ বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে বেআইনি শ্যালো পাম্প ও হাউস। বাসন্তী ব্লকেই ৮০০ বেআইনি শ্যালো ও হাউস বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ব্লক জুড়েই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট। অকেজো হয়েছে একের পর এক টিউবয়েল। ফলত, শীতের মরসুমেই পানীয় জলের হাহাকার গোটা সুন্দরবন এলাকা জুড়ে। বাসন্তী,গোসাবা,কুলতলি কিংবা ক্যানিং। সর্বত্র একই অবস্থা। তবে সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাসন্তী ব্লক জুড়ে।

অভিযোগ, দিনে ও রাতে সমানতালে পাম্প চালিয়েই মিষ্টি জল মাটির তলা থেকে তুলে হাজার হাজার বিঘায় ধান চাষ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। টাকার বিনিময়ে সেই জল বিক্রির চক্র দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে। যে কারণে বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েত,ভরত গড় গ্রাম পঞ্চায়েত, আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত,নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত,মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত, জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত, চুনোখালি গ্রাম পঞ্চায়েত, রামচন্দ্রখালি গ্রাম পঞ্চায়েত, ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ প্রতিটি এলাকা জুড়েই একের পর এক টিউবয়েল অকেজ হয়ে গিয়েছে।

এর জেরে গ্রামবাসীদের দূরবর্তী এলাকা থেকে কষ্ট করে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কোথাও এলাকার একটি মাত্র টিউবয়েল থেকে জল পড়ছে সেখানেই ভিড় জমে জমাচ্ছেন অধিক সংখ্যক মানুষ। অনেককে আবার পানীয় জল কিনে পর্যন্ত খেতে হচ্ছে। পানীয় জলের সমস্যা তীব্রতর হয়েছে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেও। কারণ হাসপাতাল চত্বরে থাকা একাধিক টিউবয়েল সম্পূর্ণভাবে অকেজ হয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধীদল তারা অভিযোগ তুলছেন শাসকদলের দিকেই। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া এই সমস্যা যদি তীব্রতর হয় তাহলে গ্রীষ্মকালে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।এই বিষয়ে টিভি ৯ বাংলার কাছে সমস্যার বিষয়টি জেনে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ থেকে বাসন্তী ব্লকের বিডিও। বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। মিটিংও হয়েছে। পুলিশও আছে আমাদের সঙ্গে। আমরা ভাবছি তদন্তে নামব।” ভরতগড় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শাহাবুদ্দিন গায়েন বলেন, “খারাপ কলগুলি ঠিক করা হচ্ছে। আর শ্যালো পাম্প আগে চলত। প্রশাসনের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

You might also like!