দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : বাংলা ভাষা ও ভাষাভাষীদের উপর লাগাতার অবমাননা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের পথে তৃণমূল। বাংলাদেশি সন্দেহে বেআইনি পুশব্যাক, নিগ্রহ ও হেনস্তার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে ভাষা আন্দোলন শুরু করার পাশাপাশি, জাতীয় স্তরেও প্রতিবাদের ঝড় তুলতে তৈরি শাসকদল। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সংসদের মঞ্চেও বাঙালি অস্মিতাকে জোরালো বার্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লোকসভায় তিনি বাংলাতেই বক্তব্য রাখবেন।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বাঙালি ‘হেনস্তা’, বিহারে এসআইআর-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের নামে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। অভিষেকের আরও প্রশ্ন, ”সংশোধনের নামে আসল মানুষের নাম বাদ দিয়ে কুকুরের নামে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এসব কী চলছে?” আসলে বিহারের পাটনায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এসআইআরের পর এক ব্যক্তির নাম ‘ডগবাবু’ বলে শংসাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ছবিও রয়েছে একটি কুকুরের। এখানেই চরম আপত্তি বিরোধীদের। আসল কাজের চেয়ে কাজের নামে অকাজ বেশি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, বাংলায় প্রত্যেক নির্বাচনে বিজেপি গোহারা হারে। তাই বাংলার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে মরিয়া তারা। নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, এটা আসলে ষড়যন্ত্র। তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, বাংলা ভাষার উপর ‘অত্যাচার’-সহ এই মুহূর্তের অন্যতম বিতর্কিত নানা ইস্যুগুলি নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলকে চাপে ফেলতে একেবারে প্রস্তুত তৃণমূল। সোমবার সকালেই সংসদের বাইরে এসআইআরের বিরোধিতায় সবকটি বিরোধী দলকে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে দেখা যায়। তাতে শামিল হয়ে স্লোগান তুলেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।