দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বসন্ত শেষ,এবার প্রচন্ড দাবদাহের সময়। আবহাওয়া অফিস ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে,এবার প্রবল গরম পড়বে। তাই একটু শান্তির খোঁজে কয়েক দিনের জন্য দার্জিলিংয়ের অদূরেই 'যোগীঘাট' গ্রাম হোক আপনার এবারের ভ্রমণের ডেস্টিনেশন। কাঞ্জনজঙ্ঘা আর জঙ্গল একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে। পাহাড়ের এবং জঙ্গল একসঙ্গে। গরমের মধ্যে বেড়িয়ে পড়ুন ঠান্ডার আমেজ নিতে। তাহলে চলে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে। দার্জিলিঙের কাছেই রয়েছে পাহাড়ি গ্রাম যোগীঘাট। কাঞ্জনজঙ্ঘার সঙ্গে জঙ্গল একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। শহুরে দূষণ থেকে কয়েক দিনের জন্য পরিবার নিয়ে চলে যান 'যোগীঘটে'। ওই গ্রামের মনোরম পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
রিয়াং নদীর পাশেই রয়েছে সেই গ্রাম। বসন্তে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে এই গ্রাম। নতুন গাছের পাতা দেখা দেয় এখানে। বসন্তে ফুলে ভরে ওঠে এই গ্রাম। কাঞ্চনজঙ্ঘা, জঙ্গল আর রিয়াং নদী মিলিয়ে এক অনন্য সৌন্দর্য।
যোগীঘাটকে কমলালেবুর গ্রামও বলা হয়ে থাকে। এখানে কমলালেবুর বাগান রয়েছে। এই গ্রামে কমলালেবু উৎপাদনই প্রথন জীবিকা গ্রামবাসীদের। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থাত এই গ্রাম। এই গ্রামের আরেকটি বিশেষত্ব হল স্যালামেন্ডের। স্যালামেন্ডের হলো গিরগিটি প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় এক ধরনের উভচর ছোট্ট প্রাণী। উত্তর আমেরিকা ছড়া একমাত্র দার্জিলিংয়ে এখনো পাথরের খাঁজে এই প্রাণীটির দেখা পাওয়া যায়। এখানে প্রচুর স্যালামেন্ডার দেখা যায়। কাজেই জঙ্গল ভ্রমণ কমলালেবু বাগান তার সঙ্গে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীর দর্শন পাওয়া যায় এই গ্রামে।
মন ভোলানো প্রাকৃতিক পরিবেশে বেশ ঠান্ডা আবহাওয়ায় ৩/৪ দিনের জন্য বেড়ানোর খুব ভালো জায়গা।
যাওয়া - হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে চলে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান রোহিনী রোড হয়ে কার্শিয়াং, দিলরাম হয়ে যাওয়া যায় যোগীঘাট। আবার আরেকটি রাস্তা রয়েছে সেবক রোড মংপু, লবদা হয়ে যোগীঘাট। যে পথে সুবিধা সেই পথে বেড়িয়ে পড়লেই হল। দুটি যাত্রা পথেই মনোরম পরিবেশ পাওয়া যাবে। দেখতে দেখতেই অর্ধেক সময় কেটে যাবে।
থাকা - এখানে হোমস্টেতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল বলে তেমন কিছু নেই। একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি পাবেন এখানে। এখানে কাছাকাছি অনেক কিছু দেখার জায়গা রয়েছে। মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি রয়েছেছে। নামথিং পোখরি থেকে শুরু করে কার্শিয়াং ঘুরে আসতে পারেন। তার সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি হবে এখানে। এখানে তাঁবু খাটিয়ে থাকা ব্যবস্থাও রয়েছে। সেখানে অনায়াসেই থাকা যায়। সবটা মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।