দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরম বেশ,শুরু হয়েছে বর্ষা!এবার ভ্রমণ পিপাসুদের পায়ের তলায় সর্ষে। এমন পরিবেশেই আমাদের নতুন ডেস্টিনেশন 'দূরপিনদারা'।
কালিম্পংয়ের কাছে একেবারে অফবিট একটি পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে খেতে পাখির কোছে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। দূরপিনদারা আবার সিটংয়ের কাছেও রয়েছে। যেখান থেকে ট্রেকিং করা যায়। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাঁদের জন্য সেরা জায়গা। দূরপিন শব্দের অর্থ হল দূরবিন আর দারা শব্দের অর্থ পাহাড়ের চূড়ো। নেপালি ভাষায় দারা বলা হয় পাহারের চূড়োকে। এই জায়গা থেকে দূরবিনের ভিউ পাওয়া যায় বলে এই জায়গাকে বলা হয় দূরপিন দারা। এমনই সুন্দর এখানকার সৌন্দর্য। একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাবেন সকলে।
দূরবিন দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখলে যেমন দেখায় এই দূরপিন দারা থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ ঠিক সেরকমই। চারিদিকে চা বাগান আর মাঝে চকচক করছে সেই পাহাড়। অসাধারণ তার সৌন্দর্য। দুটোখ ভরে দেখে নেওয়া যায় সেই দৃশ্য। সিটং গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে এই দূরপিনদারা।
বৃষ্টির সময়ও এই জায়গাটি দারুণ সুন্দর লাগে। হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি গায়ে মেখে ট্রেক করতে অসাধারণ লাগবে। দূরপিনদারা থেকে আবার পঞ্চপোখরিও যাওয়া যায়। পাহাড়ি মানুষের কাছে পঞ্চপোখরি একটি পবিত্র ধর্মিয়স্থান। পাঁচটি হ্রদের সহাবস্থান রয়েছে এখানে। যদিও সেটি নেপালে অবস্থিত। সেখানে যাঁরা ট্রেক করে যান তাঁরা এই রুটে যেতে পারেন। পঞ্চপোখরি অসাধারণ একটা জায়গা। বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান সেটি।
যাওয়া - এনজেপি থেকে গাড়িতে সিটং। গাড়ি বুক করে নিতে পারেন আবার শেয়ার গাড়িতেও যাওয়া যায়। শীতের সময় কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত সিটং। আবার গরমে এবং বর্ষাতেও সিটংয়ের আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে।