দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দিন দুই আগে আমরা কালিংপং এর অদূরেই দুটি গ্রাম - দারাগাঁও ও রামধুরা ভ্রমণের কথা বলেছি। আজকে তারই পাশাপাশি আরো দুটো অনন্য গরমের কথা জনাবো। এখনো ততটা ভিড় হয় নি। এক অর্থে অফবিট কালিংপং বলা যেতে পারে।
১) সিলারি গাঁও - কালিম্পং-এর ছোট পাহাড়ি গ্রাম সিলারি গাঁও (Sillery Gaon)। এই গ্রামের মুল আকর্ষণ হল কাঞ্চনজঙ্ঘার মনমুগ্ধকর দৃশ্য। হোটেল থেকেই দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি নিলে পেডং পেরিয়েই সিলারি গাঁও। এখানকার শান্ত স্নিগ্ধ কোলাহল মুক্ত পরিবেশ , সবুজ গাছ-গাছালী দ্বারা ঘেরা উচু উচু পাহাড় , পাখিদের ডাক আকৃষ্ট করে তুলবে আপনাকে। দেখতে পারবেন ৩০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মনেস্ট্রি। তাতে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের আঁকা ছবি।
২) ছাওয়াফেলি - চারপাশে চা-বাগানের অপরূপ সবুজ বিস্তার। চা-বাগানের কিছুটা দূর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অপরূপা কুর্তি নদী। তার পিছনে নীল পাহাড়। এ জায়গার নাম হল ছাওয়াফেলি!গাছের ছায়া পড়ে চা-বাগানে, আর মেঘের ছায়া নদীতে। এখানে খুব ভোরে আর বিকেলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর, ময়ূরী আসে। চা গাছের ঝোপে এদের বাসা। ঘণ্টা দুই থাকলেই অনেক কিছু পাওয়া যাবে। তবে হ্যাঁ, এখানে দিনের বেলাতেও হাতির দর্শন পাওয়া যায়। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এখানে আসতে হলে আপনাকে নিউমাল জংশনে নামতে হবে।
যাওয়া - এই দুটো গ্রামেই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ভাড়া গাড়িতে স্বচ্ছন্দে আসা যায়। তাছাড়া কালিংপং থেকেও গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন। তবে নিউ মাল জংশন থেকে ছাওয়াফেলি আসার সুবিধা বেশি
থাকা - এ বছর ওই দুই গ্রামে অনেক হোমস্টে হয়েছে। গিয়ে পছন্দ মতো একটাতে উঠে পড়ুন। মন ভোলানো আনন্দ নিয়ে ফিরবেন।