Travel

1 year ago

Tourism : এক ছুট্টে বেড়িয়ে আসুন পাহাড়, নদী, জঙ্গলে ঘেরা সাতকোশিয়া থেকে

Tourism
Tourism

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ট্রেডিশনাল স্থান ভ্রমণে যদি ক্লান্তবোধ করেন ও নতুন অফবিট স্থানের সন্ধান করেন তাহলে আপনার এবারের ডেস্টিনেশন হোক উড়িষ্যার সাতকোশিয়া। পাহাড়, জঙ্গল, নদী ভালো লাগে? তাহলে সাতকোশিয়ার প্রেমে পড়ে যাবেন আপনি। উড়িষ্যা ইকো টুরিজমের উদ্যোগে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই স্থান। এই স্থানের মধ্যে দিয়েই বয়ে যাচ্ছে বিখ্যাত মহানদী। এমনকি এই স্থানের নামও এসেছে সেই থেকেই। 'সাত ক্রোশ' থেকেই 'সাতকোশিয়া' নামের উৎস। 

স্থাননামের গবেষকেরা বলেন, মহানদী সাতক্রোশ এসেছে পাহাড়ের গর্জের মধ্যে দিয়ে আর সেখান থেকেই এই জায়গার নাম হয়েছে সাতকোশিয়া। বর্ষাকালে একদম অন্যরকম রূপ ধারণ করে এই অরণ্য অঞ্চল। মোট ৮০০ বর্গ কিমির ঘন জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে উড়িষ্যার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ। নদী, পাহাড়ের মেলবন্ধনে এক অনন্য জায়গা গড়ে ওঠেছে এখানে।

একটু ব্যয়বহুল হলেও মহানদীতে বোটিং করার অনুভূতিই আলাদা। আপনি চাইলেই মহানদীতে নেমে বোটিং করতে পারেন।সেখানে ১ ঘণ্টা বোটিং করার জন্য আপনাকে ৭০০ টাকা খরচ করতে হবে। এছাড়া রয়েছে জঙ্গল সাফারি। সেখানে বাঘ, হরিণ, হাতি, বাইসন, লেপার্ড‌, ভালুক ইত্যাদির ছড়াছড়ি। অর্থাৎ প্রকৃতিপ্রেমী তো বটেই, সাথে প্রাণী প্রেমীদের জন্যও স্বর্গরাজ্য এই বনাঞ্চল। স্কুইরেল, ওরিয়েন্টাল ব্লু ম্যাগপাই বা প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারের দেখা পেতে পারেন। আরো বেশি আকর্ষণ এই জঙ্গলের গভীরতা ও গাম্ভীর্য। মনে হবে চারিদিক থেকে জঙ্গল যেন আপনাকে গ্রাস করতে চলেছে। বিভিন্ন পাখি ও পশুর ডাকে ফিরে আসবে আপনার সম্বিৎ।

যাওয়া - কলকাতা থেকে আসতে হলে আপনি সম্বলপুর এক্সপ্রেসে যান। এরপর কটক বা অঙ্গুলে নেমে পড়ুন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে সাতকোশিয়ার জঙ্গল। এছাড়া গাড়িতে গেলে NH16 ধরে বালাসোর, ভদ্রক হয়ে কটকের ১৩কিমি আগে মঙ্গলু চক থেকে NH55 ধরে অঙ্গুল।

থকা - এখানে কয়েকটি হোটেল রিসর্ট আছে। এখানকার হিসাব মাথা পিছু। 

থাকা খাওয়ার খরচও খুব বেশি না। দৈনিক জনপ্রতি ২৫০০ টাকা খরচ হতে পারে আপনার। এছাড়া আপনি চাইলে টেন্ট কটেজ নিতে পারেন। এসি/নন-এসি তাঁবুর সুবিধাও রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বেশ রোমাঞ্চকর ভ্রমণ হবে আপনার।


You might also like!