দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার সিংহের গর্জনে লক্ষ্মীলাভের স্বপ্ন দেখছে বেঙ্গল সাফারি। নতুন বছরের শুরুতেই ত্রিপুরা থেকে আনা হচ্ছে দু'টি সিংহ। অনেকদিন ধরেই রাজ্য বন দপ্তর বেঙ্গল সাফারিতে দু'টি সিংহ আনার চেষ্টা করছিল। কেননা, বাঘ, চিতাবাঘ, ভালুক, হরিণ, ঘড়িয়াল এবং কুমিরে ভরপুর বেঙ্গল সাফারি সিংহ-হীন হয়ে থাকায় পর্যটকদের যেন মন ভরছিল না।
কিন্তু সিংহ মিলবে কোথা থেকে, সেটাই স্পষ্ট হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ায় এখন বেঙ্গল সাফারিত আনার প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যের বন দপ্তরের সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, 'জানুয়ারি মাসে ৩ তারিখ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে সিংহ দুটি খাঁচায় ভরে ফেলা সম্ভব হবে আশা করছি। তারপরেই বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হবে।'
শনিবারই বর্ধমান থেকে একটি চিতাবাঘ, রবিবার দু'টি চশমা বাঁদর ছাড়া হয় বেঙ্গল সাফারিতে। রাজ্য বন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, 'বেঙ্গল সাফারিতে সিংহ এলে বন দপ্তরের আয় বাড়বে।'
উল্লেখ্য, এ বছর এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেঙ্গল সাফারির আয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সিংহ এলে আগামী মার্চের মধ্যেই সাত কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা। সাত কোটি টাকাকেই আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে ধরার কারণ, কয়েকশো হরিণ, গোটা দশেক বাঘ, পাঁচটি চিতাবাঘ, চার-পাঁচটি ভালুক, কুমির, ঘড়িয়াল পালন করতে গিয়ে বেঙ্গল সাফারির প্রতিবছর ব্যয় হয় প্রায় সাত কোটি টাকা।
অবশ্য তার আগেই শীতের মরশুম জমিয়ে দিতে বেঙ্গল সাফারির পার্কে পর্যটকদের জন্য চমক থাকছে। শীলার দুই সন্তান রিকা ও কিকা কয়েক মাস আগে সন্তান প্রসব করেছে। সেগুলি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। সেগুলি এ বার পার্কে ছাড়া হতে পারে।
এমনকী, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের দু'টি শাবককেও এ বার ছাড়া হতে পারে পার্কে। সাফারির সচিব বলেন , 'শাবকদের পার্কে ছাড়া হলে পর্যটকেরা দেখতে পাবেন। তবে সতর্কতা জরুরি। পর্যটকদের গাড়ি দেখে যাতে শাবকেরা ছুটে না-যায়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে আগে ট্রায়াল দেওয়া হবে।'